শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে পরপর তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুনকে হারিয়ে রীতিমতো খাদের কিনারায় চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে টাইগারদের উদ্ধার করেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
দুজনের ১০৯ রানের জুটিতে ৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ২০৮। মুশফিক আউট হয়েছেন ৮৪ রান করে।
৫২ বলে নিজের ৪০তম ফিফটি তুলে নেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি তার পঞ্চম ফিফটি। ৮৭ বলে ৮৪ রান করে লাক্সান সান্দাকানের বলে ইসুরু উদানার হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এর আগে দুপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে খুব বেশিক্ষণ টেকেনি স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটি। তামিম ইকবালের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস ওপেন করেন লিটন দাস। বেশিক্ষণ টেকেননি লিটন।
ইনিংসের নবম বলে দুষ্মন্ত চামিরার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তিন বল খেলে শূন্য রান করেন তিনি।
পাঁচ রানে এক উইকেট হারানো বাংলাদেশকে কিছুক্ষণ সামাল দেন তামিম ও তিন নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান।
দ্বিতীয় উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়েন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ১০ ওভারের প্রথম পাওয়ার প্লে-তে আর উইকেট হারাতে দেননি সাকিব-তামিম।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরপরই আউট হন সাকিব। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে দানুস্কা গুনাতিলাকাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে পাথুম নিশাঙ্কার বলে আউট হন এই অলরাউন্ডার। ৩৪ বল খেলে ১৫ রান করেন সাকিব।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে শতরানের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মুশফিক-তামিম।
লঙ্কান বোলারদের অক্লেশে খেলে ক্যারিয়ারের ৫১তম ফিফটি তুলে নেন তামিম। ৬৬ বলে একটি ছক্কা ও ছয়টি চারে ৫০ পূর্ণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
২৩তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। লঙ্কান এই স্পিনারের পঞ্চম বলে লেগ সাইডে খেলতে যেয়ে লাইন মিস করেন তামিম। ইয়র্কার লেংথের বল আঘাত হানে তার প্যাডে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তামিম। ৭০ বলে ৫২ রান করে এলবিডব্লিউ হন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
তার পরের বলেই আবারও আঘাত ধনঞ্জয়ার। নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন তাকে সুইপ করতে গেলে বল প্যাডে আঘাত করে তার। বোলারের লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। মিঠুন রিভিউ নিলেও রক্ষা পাননি। ফলে, দুই বলে দুই উইকেটে পাশাপাশি দুটি রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।