অভিষেক ২০১৫ সালে। এরপর থেকে লিটন দাসের ক্যারিয়ার গ্রাফটা বরাবরই উঁচুনিচু। কখনও দেখিয়েছেন নিজের প্রতিভার ঝলক, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার নামের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে ধারাবাহিকতাহীনতা।
সেই দুর্নাম ঘোচানোর আভাস লিটন দেন ২০২০ এর শুরুতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে করেন ১৫ ইনিংসে ৪৫৫ রান। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩ ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিসহ ৩১১ রান। সেই দুই সেঞ্চুরির মধ্যে ছিল ১৭৬ রানের একটি ইনিংস, যা বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পেরিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর থেকেই নিজের সেই বিধ্বংসী রূপের ছায়া হয়ে আছেন লিটন। শেষ ছয় ওয়ানডেতে ফিফটি বা সেঞ্চুরি দূরে থাক, ত্রিশের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি এ ব্যাটসম্যান। শেষ ছয় ইনিংস মিলিয়ে করেছেন রান করেছেন মাত্র ৭৬। শূন্য রানে আউট হয়েছেন দুবার।
এমন পারফরমেন্সে তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে অটো-চয়েজ বনে যাওয়া লিটনের সে জায়গা নিয়েও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।
তারপরও লিটনকে নিয়ে ধৈর্য হারাতে চান না বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তার মতে ভাগ্যের ছোঁয়া দরকার এই ডানহাতির।
‘লিটনের ওপর অনেক আস্থা আছে আমার। সে একজন দারুণ ব্যাটসম্যান। তার একটু ভাগ্যের সহায়তা দরকার। তার ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। সব ব্যাটসম্যানেরই এক টানা ৫-৬টি খারাপ ম্যাচ যায়। আমার মনে হয় সে দ্রুতই বড় একটি ইনিংস খেলবে,’ বলেন ডমিঙ্গো।
সৌম্য সরকারকে নিয়েও গত দুই সিরিজে অদ্ভুত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাতে খেলানোর পর নিউজিল্যান্ড সফরে তাকে খেলানো হয় তিনে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সৌম্য কোথায় খেলবেন, আদৌ খেলবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান ডমিঙ্গো।
‘আজ নির্বাচকদের সাথে বসব। সৌম্যর ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনও একাদশ সাজানো হয়নি,’ বলেন তিনি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে রোববার। দিবারাত্রির তিনটি ম্যাচই হবে যথাক্রমে ২৩, ২৫ ও ২৮ মে।