নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে সাকিব আল হাসানের প্রথম সিরিজ ছিল ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই সিরিজেই দেখা যায়, সাকিব ব্যাট করছেন চার নম্বরে।
অথচ, নিষেধাজ্ঞার আগে সাকিব ব্যাট করছিলেন তিনে। ২০১৮ সালের শুরু থেকে সে পজিশনে ব্যাট করে ২১ ম্যাচে ১১৪৮ রান করেন তিনি। গড় ৬৩.৭৭।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সে পজিশনে খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিন ম্যাচেই ব্যর্থ হন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দলে জায়গাই হয়নি শান্তর। অনুমিতভাবেই, তিন নম্বরে ফিরছেন সাকিব। সেটিই শুক্রবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তিন নম্বরে সাকিব নিজের ক্যারিয়ারের সেরা পারফরমেন্স দেখান ২০১৯ বিশ্বকাপে। ৮ ইনিংসে করেন ৬০৬ রান। পঞ্চাশ পেরোতে পারেননি কেবল একবার।
এমন দুর্দান্ত সাকিবকে তামিম চাইলেও, বাস্তবতা মেনে নিয়ে তিনি বলছেন, সব সময় এমনটি হবে না। প্রত্যাশা বেশি থাকলেও তাই মাটিতেই পা রাখতে চাইছেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
‘প্রত্যাশা অবশ্যই বেশি থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে, সাকিব বিশ্বকাপে যা করেছে, সেটা ব্যতিক্রম। আমি তো চাইব প্রতি ম্যাচেই তেমনটা হোক। সে-ও চাবে। এটা তো প্রতি ম্যাচে সম্ভব না। একটা ছেলে ৮-৯ ম্যাচে ৬০০ রান করে ফেলেছে। এটা তো আসলে সচরাচর দেখি না’-বলেন তামিম।
তিনি যোগ করেন, বিশ্বকাপের মতো দুর্দান্ত না করলেও চিন্তার কিছু নেই। বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘আমি নিশ্চিত সে ভালো করবে। সে এখানে ভালো করেছে। শুধু বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে দেখেন যে ওই ৬০০টা রান! এভাবে করে ক্রিকেট খেলাটা একটু কঠিন। যদি এভাবে না হয়, তাহলে প্যানিক করার কিছু নেই। আমি নিশ্চিতভাবেই প্যানিক করব না।’
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) খেলে ভারত থেকে আসায় দেশে ফিরে লম্বা সময় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে সাকিবকে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন তিনি। সেখানে করেন ২০ বলে ২৮ রান। এরপর শেখ মাহেদি হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে রোববার। ম্যাচ তিনটি হবে যথাক্রমে ২৩, ২৫ ও ২৮ মে।