সাম্প্রতিক নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ দলের চোখে পড়ার মত অবনতি ছিল ফিল্ডিংয়ে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফিল্ডাররা ক্যাচ ছেড়েছে। রান আউটেরও একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজের আগে দলের ফিল্ডিং নিয়ে চিন্তিত তামিম ইকবাল। ভারতীয় এক ক্রিকেট ওয়াবসাইটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন অনুশীলনে চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই দলের সদস্যদের।‘এটা (ফিল্ডিং) নিয়েই আমি সবচেয়ে চিন্তিত। গত পাঁচ মাসে ব্যাটিং ও বোলিনয়ের চেয়ে ফিল্ডিংয়ের কারণে আমরা ম্যাচ বেশি হেরেছি। ঘরের দুটা টেস্ট ও নিউজিল্যান্ডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলো ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। আমরা মাঠে কী করি সেটা সবাই দেখে। কিন্তু আমরা অনুশীলনে কী করি সেটা কেউ দেখে না। অনুশীলনে আমরা উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করি।’উইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বাংলাদেশ মনোযোগ হারানোতে ফল দলের পক্ষে আসেনি বলে বিশ্বাস করেন তামিম। সামনের তিন ওয়ানডেতে দলের কাছ থেকে এটাই চান তিনি।‘আমরা লড়াই করেছি। কিন্তু ম্যাচের দল নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলোকে আমাদের পক্ষে নিয়ে আসতে হবে। এটা একটা স্পেল, একটা পার্টনারশিপ বা একটা ক্যাচের মাধ্যমে হতে পারে। এই সুযোগগুলো আমরা আর হারাতে চাই না। গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তগুলোতে আমাদের মনোযোগ হারালে চলবে না।’একটা জয় দলের জন্য টনিকের কাজ করে উল্লেখ করে তামিম বলেন, সবাই জিততে মুখিয়ে থাকে।‘আমরা যখন জিতি না তখন ড্রেসিংরুমটা আর আনন্দের জায়গা থাকে না। (এ কারণে) এখন সবাই বাড়তি পরিশ্রম করছে। তারা ম্যাচ জিততে চায়। আমরা প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যত নিয়ে অনেক কিছুই বলতে পারি কিন্তু দিন শেষে জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’খুব বেশি দিন হয়নি বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পেয়েছেন তামিম ইকবাল। কিন্তু তার কাঁধে দলকে ২০২৩ বিশ্বকাপে সুযোগ পাইয়ে দেয়ার বড় দায়িত্ব। যে কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ জিতে কিছু পয়েন্ট অর্জন করে নিতে চান তামিম।‘বিশ্বকাপের আগে খুব বেশি ম্যাচ পাব না আমরা। সম্ভবত ২৫টার মতো ম্যাচ খেলব। কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খেলতে না চাইলে আমাদের পয়েন্ট অর্জন করে সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ করে নিতে হবে। এ কারণেই এই সিরিজটা এত গুরত্বপূর্ণ। আমাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনের চেষ্টা করতে হবে।’