ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে ফিরে সরাসরি কোয়ারেন্টিনে চলে যান বাংলাদেশের দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুরোধে ও ভারতে আইপিএলের বায়োবাবলে থাকার কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় দুই টাইগারের আইসোলেশন কিছুটা শিথিল করে।যার কারণে নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই অনুশীলনে নামেন মুস্তাফিজ ও সাকিব। তবে, মঙ্গলবার বজ্রবৃষ্টির কারণে আউটফিল্ডে অনুশীলন করতে পারেননি ক্রিকেটাররা।বুধবার অনুশীলন শেষে মুস্তাফিজ সংবাদ মাধ্যমকে জানান সিরিজের অনুশীলনের জন্য পাওয়া স্বল্প সময় কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন।‘ভারত আর আমাদের দেশে কোয়ারেন্টিন মিলিয়ে গত ২৫ দিনে একটা অনুশীলন ম্যাচ আর একটা আইপিএল ম্যাচ খেলেছি। আমি আর সাকিব ভাই দুজনেই ওরকম ছিলাম। তিন দিনের মধ্যে কালকে তো অনুশীলন করতে পারি নাই। আজকে করলাম। আরও দুই দিন সময় পাব। চেষ্টা করে দেখি কী হয়।’
চোটের কারণে সিরিজে খেলতে পারছেন না রুবেল হোসেন। যে কারণে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেইসার মুস্তাফিজ। তাকেই নেতৃত্ব দিতে হবে আক্রমণের। নিজের দায়িত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল এই বাঁহাতি। নিজের সেরা ছন্দ ফিরে পেতে অনুশীলনের প্রথম দিন বেসিকটা ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন তিনি। জানালেন কোয়ারেন্টিন থেকে ফিরেই নেটে আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেননি।
‘টানা উনিশ দিন কিছু না করে রুমের ভেতর ছিলাম। টুকটাক যা অনুশীলন করতে পেরেছি ওগুলো করে যদি প্রথম দিনই বিশেষ কিছু করার কথা ভাবি তাহলে তো হওয়ার কথা না। আমি চেষ্টা করছি। শেষ দুই বছর শুধু আমার জন্য না, সবার জন্যই খুব কষ্টকর এই বায়োবাবল।’
লঙ্কানরা বাংলাদেশের চেনা প্রতিপক্ষ। টেস্ট সিরিজে হেরে আসার পর তাদেরকে সমীহ না করে উপায় নেই। তারপরও দ্য ফিজ ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশকেই।‘এখন যারা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলতে আসবে তারা কেউ ছোটখাটো না। আমরা দুই দলই সমান। কোনো দলকে আমি ছোট করে দেখি না। তবে দেশকে তো জেতাই লাগবে, না? হোমে আমরা বেশি ম্যাচ জিতেছি তো অবশ্যই আমরা হোমে এগিয়ে থাকব।’দুই দলের প্রথম ওয়ানডে শুরু হচ্ছে ২৩ মে। এর আগে ২১ মে দুই দলের খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা করা হবে। তার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে কে খেলছেন ম্যাচে।শেষ দুই ওয়ানডে ২৫ ও ২৮ মে। সবগুলো ম্যাচই ডে-নাইট ও অনুষ্ঠিত হবে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।