বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ম্যাচের আগে নির্ঘুম রাত কাটত টেন্ডুলকারের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ মে, ২০২১ ১৭:৪৯

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এই সমস্যায় ভুগতেন কিংবদন্তি এ ব্যাটসম্যান। পরের দিকে নিজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই উদ্বেগ ও অনিদ্রাকে মেনে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় উদ্বেগ ও অনিদ্রায় ভুগেছেন শচীন টেন্ডুলকার। সোমবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টেন্ডুলকার জানান, কোনো ম্যাচের আগের রাতে তিনি স্নায়ু চাপে ভুগতেন ও ঘুমাতে পারতেন না।টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রানের মালিক আরও জানান ম্যাচের আগে শ্যাডো ব্যাটিং করে, টিভি দেখে বা ভিডিও গেম খেলে রাত কাটাতেন।‘মাঠে নামার অনেক আগে আমার মাথায় ম্যাচ শুরু হয়ে যেত। উদ্বেগের মাত্রা থাকত অনেক বেশি।’ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এই সমস্যায় ভুগতেন কিংবদন্তি এ ব্যাটসম্যান। পরের দিকে নিজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই উদ্বেগ ও অনিদ্রাকে মেনে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।‘১০-১২ বছর উদ্বেগে ভুগেছি। অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি ম্যাচের আগে। পরের দিকে, আমি মেনে নিয়েছি যে এটা আমার প্রস্তুতিরই অংশ। নির্ঘুম রাত নিতে আমি বেশি চিন্তা করতাম না। নিজের মনকে ব্যস্ত রাখতে কিছু একটা করা শুরু করি।’করোনা মহামারির সময়ে ক্রিকেটারদের মানসিক সুস্থতার বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। অনেকেই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বা সিরিজের সময় বায়ো বাবলে বন্দি থাকার ধকল নিতে চাচ্ছেন না। সম্প্রতি আইপিএল চলাকালীন অ্যাডাম জ্যাম্পা ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো তারকা ক্রিকেটাররা বায়ো বাবলের থাকার ধকল নিয়ে কথা বলেন।২০০ টেস্ট ও ৪৬৩ ওয়ানডে খেলা টেন্ডুলকারের মতে মানসিক সমস্যার সমাধান করার প্রথম পদক্ষেপ সমস্যাকে স্বীকার করে নেয়া।‘যখন কোনো ইনজুরি হয়, ফিজিও ও চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে সমস্যাটা বের করেন। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা তাই। ভালো-খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সবার জন্যেই স্বাভাবিক। যখন খারাপ সময় যাচ্ছে তখন আপনার আশেপাশে লোকজনের দরকার হবে। বিষয়টা মেনে নিতে হবে। শুধু খেলোয়াড়কেই নয়, তার আশেপাশের সবাইকে। সমস্যা আছে স্বীকার করে নেয়ার পর সমাধান খুঁজে বের করা সম্ভব। ’১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন শচীন টেন্ডুলকার। মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তার অভিষেক হয় ১৯৮৯ সালে। এরপরের ২৪ বছর শাসণ করেছেন ক্রিকেট জগত।খেলাটির ব্যাটিং-এর প্রায় সব রেকর্ড তার দখলে। সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, রান, বাউন্ডারি, ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার, সর্বোচ্চ সংখ্যক ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলাসহ অসংখ্য রেকর্ড তার নামের পাশে। জিতেছেন ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিদায় নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর