শুধু ক্রিকেট নয় আশির দশকের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে ধরা হয় পুরো ক্রীড়া ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা দল। ক্লাইভ লয়েডের সর্বজয়ী দলে ছিলেন ভিভ রিচার্ডস, ডেসমন্ড হেইনস, গর্ডন গ্রিনিজের মতো ব্যাটসম্যান। আর তার পেইস ব্যাটারিতে ছিল অ্যান্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং, জোল গার্নার, কলিন ক্রফট, ম্যালকম মার্শালের মতো সর্বকালের সেরা সব ফাস্ট বোলার।নব্বই দশকে লাইন আপে কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ ও ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তিরা খেললেও ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করে তাদের ফর্ম। নতুন শতাব্দীতে সর্বজয়ী থেকে সাধারণ মানের এক দলের পরিণত হয় উইন্ডিজ।উইন্ডিজের স্বর্ণযুগের অন্যতম স্বাক্ষী স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস মনে করেন তার দেশের ক্রিকেটে আর কখনই আশির দশকের মতো সময় ফিরে আসবে না। যুক্তরাজ্যর টক স্পোর্টস রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক এই ফাস্ট বোলার জানান এখনকার তরুণরা উইন্ডিজ ক্রিকেটের গুরুত্ব বুঝতে পারেন না।‘যারা এখন খেলছে তাদের প্রতি কোনো অসম্মান নেই। দলে কয়েকজন ক্রিকেটার আছে আছে যারা ভবিষ্যতে গ্রেট হতে পারে। কিন্তু মনে হয় না ওইসব ঐতিহাসিক সাফল্যের দিন আর আমরা দেখব। এখনকার তরুণরা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের কাছে উইন্ডিজ ক্রিকেট দলের গুরুত্বটা বুঝতে পারে না। এটা একমাত্র খেলা যেটা ক্যারিবিয়ানদের একত্র করে।’উইন্ডিজের দ্বীপ দেশগুলোতে এখন আর বিশ্বমানের ক্রিকেটার উঠে আসে না জানান অ্যামব্রোস। ৪০৫ টেস্ট উইকেট শিকারি এই ফাস্ট বোলার মনে করেন গ্রেট খেলোয়াড়রাই একটা গ্রেট দল তৈরি করে।‘আরেকজন ভিভ রিচার্ডস, হেইনস, গ্রিনিজ, ব্রায়ান লারা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। মার্শাল, অ্যামব্রোস, ওয়ালশ, হোল্ডিং, রবার্টস, তালিকা অনেক বড়। আর অবশ্যই ক্লাইভ লয়েড। এই মানের খেলোয়াড় পাওয়াটা অনেক কঠিন হবে।’টেস্ট র‍্যাংকিংয়ে আট নম্বরে আছে উইন্ডিজ। অ্যামব্রোসের মতে তারা অনেক উন্নতি করতে পারবে ভবিষ্যতে। তবে, কখনই আশির দশকের দলের মতো সফল হতে পারবে না।‘হ্যাঁ আমরা আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে এগোতে পারব। শক্তিশালী দলে পরিণত হতে পারব। কিন্তু সেই গৌরবের সময়টা ফিরে আসবে না আর।’