জৈব নিরাপত্তাবলয়ের ভেতর থাকা সত্ত্বেও খেলোয়াড় ও স্টাফরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় মঙ্গলবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুজন, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুুরুর দুজন, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের একজন, দিল্লি ক্যাপিটালসের লেগ স্পিনার অমিত মিশ্র ও চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং কোচ মাইক হাসি এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
আইপিএল স্থগিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
ভারতীয় পত্রিকা টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আইপিএলের জৈব নিরাপত্তাবলয়ের ভেতর করোনা সংক্রমণ নিয়ে তদন্ত করবেন তারা।
‘আমি সত্যিই জানি না জৈব নিরাপত্তাবলয়ের ভেতর এমন ঘটনা কী করে ঘটল। আমাদের তদন্ত করতে হবে এবং এটির পেছনে কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।’
বিসিসিআই সভাপতি আরও জানান, ভ্রমণ করার কারণে হতে পারে সংক্রমণ। ২০২০ সালের আসর হয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে তিনটি ভেন্যুতে খেলা হলেও আকাশপথে ভ্রমণ করতে হয়নি দলগুলোকে। কিন্তু এবারের আসর হয়েছে ছয়টি ভেন্যুতে। চেন্নাই ও মুম্বাইয়ে প্রথম পর্ব শেষে দলগুলো সফর করেছে দিল্লি ও আহমেদাবাদে।
‘ভ্রমণ একটি কারণ হতে পারে। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সবকিছু তিনটি ভেন্যু ও সীমিত পরিসরে সীমাবদ্ধ ছিল। আকাশপথে ভ্রমণ ছিল। এখানে ছয়টি ভেন্যু ছিল’, বলেন গাঙ্গুলি।
আইপিএল যদি ফের শুরু না হতে পারে, তাহলে আড়াই হাজার কোটি রুপি ক্ষতি হতে পারে বলে জানান সৌরভ।
তিনি বলেন, ‘আইপিএল সম্পন্ন না করতে পারলে প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২৫০০ কোটি রুপি ক্ষতি হবে।’