শেষ দিনে ৪৩৭ রানের বিশ্বরেকর্ড টার্গেট সামনে রেখে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। অক্ষত ছিল পাঁচ উইকেট। সময় ছিল ৯৮ ওভার।প্রায় অসম্ভব লক্ষ্য সামনে রেখে ব্যাট করতে নামা সফরকারী দলের শুরুটা হয় বাজে। আগের দিনের ১৪ রানে অপরাজিত থাকা লিটন ফেরেন আর তিন রান যোগ করে।দিনের তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান লিটন। প্রাভিন জয়াউইক্রামার আর্ম বল ডিফেন্ড করতে গিয়েছিলেন। বল তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলে দিলে রিভিউ নেন লিটন। কিন্তু রিভিউ রক্ষা করতে পারেনি তাকে। ইনিংসে জয়াউইক্রামার তৃতীয় শিকার হয়ে ১৭ রানে ফিরতে হয় তাকে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ১৮৩/৬।টার্ন করতে থাকা পিচে লঙ্কার স্পিনারদের সামনে রীতিমত খাবি খেতে থাকেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। লিটনের পর ফিরে যান তাইজুল ইসলাম।ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ফ্ল্যাট ডেলিভারিকে থার্ডম্যানে স্টিয়ার করতে গেলে বল তার ব্যাটের কানায় লাগে। উইকেটের পেছনে থাকা নিরোশান ডিকওয়েলা গ্লাভস হাতে কোনো ভুল করেননি। ৩০ বল খেলা তাইজুল কট বাহাইন্ড হয়ে ফেরেন দুই রান করে। বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২০৬/৭।তাসকিন আহমেদকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান মেহেদী মিরাজ। বাংলাদেশের দ্রুত পরাজয়ের সামনে তিনি একাই দাঁড়িয়ে আছেন শেষ বাধা হিসেবে। এক ঘণ্টার খেলা শেষে পানি পানের বিরতির সময় তার স্কোর ৩৫*। বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২২/৭। এর আগে চতুর্থ দিন, এর আগে ৪৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। টানা চার ফিফটির পর তামিম ফেরেন দারুণ টার্ন করা রমেশ মেন্ডিসের এক বলে। একই পথে ফিরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তও, প্রাভিন জয়াউইক্রামার বলে।
সাইফ হাসান বিলিয়ে এসেছেন উইকেট। জয়াউইক্রামার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। মুমিনুলও ফিরেছেন রমেশের বলে। সামান্য টার্ন করা বলে ব্যাটের কানা লাগিয়ে বোল্ড হয়েছেন।
মুশফিকুর রহিম ফেরেন রমেশের দারুণ এক ডেলিভারিতে। টার্ন করে বল মুশফিকের গ্লাভস ছুঁয়ে পৌঁছে যায় লেগ স্লিপের হাতে।