ব্যাট হাতে জস বাটলার ও বল হাতে মুস্তাফিজুর রহমান, দুই বিদেশি রিক্রুটের জ্বলে ওঠার দিনে দারুণ এক জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৫ রানে হারায় তারা।আগে ব্যাট করে বাটলারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে তিন উইকেটে ২২০ রান সংগ্রহ করে রয়্যালস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬৫ রানের বেশি করতে পারেনি সানরাইজার্স।দিল্লিতে নতুন অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের অধীনে এই মৌসুমে প্রথম খেলতে নামে সানরাইজার্স। টস জিতে রয়্যালসকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান উইলিয়ামসন।শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন বাটলার। ওপেনিং পার্টনার ইয়াশসভি জেসওয়ালকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে তাণ্ডব শুরু করেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। ৮১ বলে যোগ করেন ১৫০।বাটলারের প্রথম ফিফটি আসে ৩৯ বলে। ফিফটি পূর্ণ করে রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন তিনি। বাকি ৫০ রান পেতে খরচ করেন মাত্র ১৮ বল। ৫৬ বলের সেঞ্চুরিতে ১০টি চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকান এই ইংলিশ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ৬৪ বলে ১২৪ রান করে ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হন তিনি। আটটি ছক্কা ও ১১টি চারে সাজানো ছিল তার ইনিংস। তার ব্যাটেই দুই শ ছাড়ায় রয়্যালস।তাদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে স্যামসনের ব্যাট থেকে। সানরাইজার্স হায়দরবাদের হয়ে রাশিদ খান, সান্দিপ শর্মা ও ভিজয় শঙ্কর একটি করে উইকেট নেন।বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ভালোই ব্যাট করে সানরাইজার্স। ডেভিড ওয়ার্নারকে ছাড়া খেলতে নেমে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার মানিশ পান্ডে ও জনি বেয়ারস্টো। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৫৭ রান তোলে সানরাইজার্স।পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরই মুস্তাফিজের তোপের মুখে পড়ে তারা।আস্কিং রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাট করতে থাকা মানিশ পান্ডেকে প্রথমে ফেরান এই পেইসার। ২০ বলে ৩১ রান করা এই ওপেনারকে স্লোয়ারে পরাস্ত করেন দ্য ফিজ।প্রথম স্পেলে আর উইকেট না পেলেও বেশ কিপটে বল করেন মুস্তাফিজ। ২ ওভারে দেন ১১ রান। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসে শিকার করেন মোহাম্মদ নাবির উইকেট।১৫তম ওভারে মুস্তাফিজের অফকাটারে ব্যাট চালাতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ আফগান ব্যাটসম্যান।আরেক আফগান রিক্রুট রাশিদ খানকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান বাংলাদেশি পেইসার। তার কাটারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়েন রাশিদ।চার ওভারে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে সানরাইজার্সকে বিপর্যয়ে ফেলেন কাটার মাস্টার। তার সতীর্থ ক্রিস মরিসও নেন তিন উইকেট। তিনি রান দেন ২৯।নির্ধারিত ওভার শেষে টার্গেটের ধারে কাছেও যেতে পারেনি সানরাইজার্স। ১৬৫ রানেই থামতে হয় তাদের।সাত ম্যাচে এটি রাজস্থান রয়্যালসের তিন নম্বর জয়। এতে করে টেবিলের ছয়ে উঠে এসেছে তারা।