বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে ইমরুলের ক্যারিয়ারটা মোটামুটি রোলার কোস্টারের মতো। কখনও সাফল্যের শীর্ষে আবার কখনও ব্যর্থতার অতলে। কখনোই নিজের অবস্থান পাকা করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। আসা- যাওয়ার মধ্যেই কেটেছে তার ক্যারিয়ারের এক যুগ।ভারতের বিপক্ষে ২০১৯ সালে টেস্ট সিরিজ খেলার পর আবারও ইমরুলের সামনে সুযোগ এসেছে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চাপানোর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বিসিবির প্রাথমিক ২৩ সদস্যের দলে আবারও ডাক পেয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়ে নির্বাচকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন ইমরুল। সংবাদ মাধ্যমকে শনিবার দুপুরে জানান প্রাথমিক দলে জায়গা করে নেয়াটাও অনুপ্রেরণার।‘(নির্বাচকদের) ধন্যবাদ জানাই। এটা আমার জন্য অবশ্যই অনুপ্রেরণার। কারণ জাতীয় দলের বাইরে থাকলে, স্কোয়াডের বাইরে থাকলে আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকা যায় না জাতীয় দলের জন্য।’শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজের জন্য জাতীয় দলের একাংশ আজই অনুশীলন শুরু করেছেন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। অন্যান্যদের সঙ্গে ছিলেন দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ইমরুল ও মাহমুদুল্লাহ। অনুশীলনের ফাঁকে ইমরুল জানালেন, জাতীয় দলের জন্য আবারও নিজেকে প্রস্তুত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন তিনি।‘এটা অনেক বড় সুযোগ আবার নতুন করে চিন্তাভাবনা করার। নিজেকে ওভাবে প্রস্তুত করতে পারব। যে ঘাটতিগুলো ছিল ওগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। এটা অনেক বড় সুযোগ আবারও জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।’জাতীয় দলে আসা যাওয়ার মাঝে নিজের ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন ইমরুল। তার কাছে দল থেকে বাদ পড়াটা সব সময় নেতিবাচক কিছু নয়। দলের বাইরে থাকলেও সব সময়ই তার কামব্যাক করার ভাবনা থাকে।‘জাতীয় দলের বাইরে থাকলে যখন খেলা দেখি, তখন ওই জায়গাটাকে অনেক মিস করি। তারপরও বলব যে কিছু কিছু সময় বাদ পড়াটা প্লেয়ারের জন্য ভালো। অনেক কিছু শেখা যায়। নিজের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করা যায়। সব সময়ই আমি ড্রেসিং রুমের পরিবেশ উপভোগ করি। সেটা ফিরে পেতে যে অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রমটা দরকার, সেটা করে যাই সব সময়। কখনও ভাবি না যে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লে, একেবারে বের হয়ে গেছি। মনে করি পাশেই আছি। হয়তো বা পারফর্ম করতে পারলে কামব্যাক করব।’বাংলাদেশের জার্সিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৮ সালে ওয়ানডে অভিষেক হয় ইমরুলের। একই বছর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে পান টেস্ট ক্যাপ।৭৮ ওয়ানডেতে ৩২.০২ গড়ে ২৪৩৪ রান করেছেন ইমরুল। সেঞ্চুরি চারটি। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৪৪। আর ৩৯ টেস্টে ২৪.২৮ গড়ে ১,৭৯৭ রান করেছেন তিনি। তিনটি সেঞ্চুরি আছে সাদা পোশাকে। সর্বোচ্চ ১৫০।
বাদ পড়াটা কখনও কখনও ভালো: ইমরুল
জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মাঝে নিজের ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন ইমরুল। তার কাছে দল থেকে বাদ পড়াটা সব সময় নেতিবাচক কিছু নয়। দলের বাইরে থাকলেও সব সময়ই তার কামব্যাক করার ভাবনা থাকে।
-
ট্যাগ:
- বাংলাদেশ ক্রিকেট
এ বিভাগের আরো খবর/p>