পাল্লেকেলেতে তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের শেষদিক পর্যন্তও ভালো অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। চা বিরতির ঠিক আগে আগে মুশফিকুর রহিমকে হারায় তারা। আর তৃতীয় সেশনে?
তৃতীয় সেশনে মাত্র ৩৭ রান তুলতেই বাংলাদেশ হারায় ৭ উইকেট। তাতে গুটিয়ে যেতে হয় মাত্র ২৫১ রানে।
বাংলাদেশকে ২৫১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২৪২ রানের লিড পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তাতে বাংলাদেশকে ফলো অন করাতে পারলেও তা করেনি স্বাগতিক দল। আপাতত আবার ব্যাটিংয়েই নামছেন লঙ্কানরা।
শ্রীলঙ্কার অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার প্রাভিন জয়াউইক্রামার বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। তিনি তুলে নেন ৬ উইকেট। সঙ্গে দুটি করে উইকেট শিকার করেন রমেশ মেন্ডিস ও সুরাঙ্গা লাকমল।
চা-বিরতির নির্ধারিত সময়ের দুই বল আগে জয়াউইক্রামার বল ব্যাকফুটে গিয়ে ডিফেন্ড করতে গিয়ে মিস করেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার লেগ বিফোরের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
তাতে রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। সেখানে দেখা যায় আউট ছিলেন মুশফিক। তাকে ফিরতে হয় ৪০ রানে। ভাঙে মুমিনুলের সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটি।
তৃতীয় সেশন শুরু হওয়ার পরপর ফেরেন মুমিনুল। রমেশ মেন্ডিসের ফুলটসে লেগ বিফোর হয়ে ৪৯ রানে ফিরতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। হাতছাড়ারা করেন নিজের ফিফটি।
পরের ওভারেই ফেরেন লিটন। জয়াউইক্রামার বলে স্লিপে থিরিমান্নেকে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরতে হয় তাকে।
জয়াউইক্রামার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। তাসকিনকেও ফিরতে হয় অভিষিক্ত এ বাঁহাতি স্পিনারের বলে।
নতুন বলে শরিফুল ইসলামকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে অল আউট হওয়ার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান লাকমল।শেষ উইকেট হিসেবে তাইজুল ফেরেন অদ্ভুত ভাবে। লাকমলকে খেলতে গিয়ে পেছনের পা দিয়ে ভেঙে ফেলেন স্টাম্প। বনে যান তাপস বৈশ্যের পর হিট উইকেট হওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।