শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে যেন অভিশাপ লেগেছে তামিম ইকবালের। কোনোভাবেই সেঞ্চুরি পাচ্ছেন না তিনি!
প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন নড়বড়ে নব্বই রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকলেও তাকে তিন অঙ্কের ঘরে যেতে দেয়নি বৃষ্টি।
হলো না দ্বিতীয় টেস্টে এসেও। দারুণ খেলে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৯২ রানে। তখনই বিপদ হয়ে এলেন অভিষিক্ত প্রাভিন জয়াউইক্রামা।
বাঁহাতি এ স্পিনারের বলে স্লিপে লাহিরু থিরিমান্নেকে ক্যাচ দিয়ে সেঞ্চুরি ছাড়াই ফিরতে হয় তামিমকে।
কাকতালীয়ভাবে, এ সিরিজে দুবারই তামিম নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন থিরিমান্নের দারুণ ক্যাচ হয়ে।
৯২ রান করার পথে তামিম খেলেছেন ১৫৯ বল, মেরেছেন ১২টি চার।
তামিম তার ইনিংসের শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। নিজের ফিফটি তুলে নেন মাত্র ৫৭ বলে। ফিফটি ছোঁয়ার পরেও ধরে রেখেছিলেন আক্রমণের ধারা।
প্রথম সেশনের শেষ দুই ওভারে সাইফ হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরে যাওয়ায় দ্বিতীয় সেশনের শুরু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তামিম।
শেষ পর্যন্ত তাতে না পেয়েছেন সেঞ্চুরি, না হয়েছে সেঞ্চুরি সংখ্যায় মুমিনুল হককে ছোঁয়া। তামিম সেঞ্চুরির আগেই ফেরায় ১০টি টেস্ট সেঞ্চুরি নিয়ে এখনও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট শতক বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কের।
এই সেঞ্চুরিটি হলে শ্রীলঙ্কায় তো বটেই, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি হতো তামিমের।
তামিমকে হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫১। শ্রীলঙ্কার চেয়ে টাইগাররা এখনও পিছিয়ে ৩৪১ রানে।
এর আগে তৃতীয় দিনের শুরুতে ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।