কোভিড মহামারির কারণে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এমনটা জানান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) গেম ডেভেলপমেন্টে ও টুর্নামেন্ট পরিচালক ধিরাজ মালহোত্রা।মালহোত্রা জানান, পরিস্থিতি একেবারে খারাপ হলে তারা আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করবেন। আপাতত নির্ধারিত সূচিতে ভারতেই হচ্ছে আইসিসির এই আসর।ভারতে কোভিড মহামারিতে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ মানুষ। মারা যাচ্ছেন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার। অক্সিজেন ও হাসপাতাল বেডের শঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করছে দেশটি।এমন অবস্থায় মাত্র ছয় মাসের মধ্যে এমন বৈশ্বিক একটা টুর্নামেন্ট ভারতের পক্ষে আয়োজন করা সম্ভব কি না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেট বিশ্বে।তবে, মালহোত্রা আশ্বস্ত করতে চান ক্রিকেট ভক্তদের। বিবিসিকে তিনি বলেন, বিসিসিআই সর্বাত্মক চেষ্টা করছে টুর্নামেন্ট যথাসময়ে আয়োজনের।‘আশা করি হবে। টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য যা কিছু করা সম্ভব আমরা তাই করছি। সাধারণ পরিস্থিতি, কোভিড পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে কী করে আইসিসির এই টুর্নামেন্টটা আয়োজন করা যায় সে নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি।’ভারতে কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে কী হবে সেটারই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মালহোত্রা।‘তখন এটা ইউএইতে যাবে। বিসিসিআই আয়োজক থাকবে কিন্তু সেটি তখন আমিরাতে হবে। কিন্তু সবকিছু পরিচালনা করবে বিসিসিআই।’১৬ দলের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের জন্য আইসিসির কাছে নয়টি ভেন্যুর প্রস্তাব দেয় ভারত। এগুলো হচ্ছে আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধরমশালা, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনৌ ও মুম্বাই। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ফাইনাল ম্যাচ।বিসিসিআই দুটি ভেন্যুতে খেলা পরিচালনা করে পরের দুটি ভেন্যুতে দলগুলোকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। এই মডেলে খেলা হচ্ছে আইপিএলে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিডকে মহামারি ঘোষণার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপই হতে যাচ্ছে প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট। ইভেন্টটির প্রস্তুতির খোঁজখবর নিতে আইসিসির একটি পরিদর্শক দলের ভারতে আসার কথা ছিল। কিন্তু আরব আমিরাত ভারতের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলে বাতিল হয় সেটি।মালহোত্রা এখনও বিশ্বাস করেন নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী ১৪ নভেম্বর টুর্নামেন্ট শুরু হবে। সেই অনুযায়ী আনুষঙ্গিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।‘আমরা এখন টিকিট বিক্রি, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সবার ভারতে আসার ব্যবস্থা এসব কিছুই পর্যালোচনা করছি। এই মুহূর্তে আমরা জানি না ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি কেমন হতে পারে।’