বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মুশফিক দারুণ রান্না করে, তবে হেড শেফ ইমরুল’

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ১৫:৫৪

লম্বা সিরিজ খেলার সময় মাসের পর মাস একসঙ্গে থাকতে হয় টাইগারদের। হোটেলের খাবারে অরুচি এসে গেলে নিজেরাই রান্না করেন ক্রিকেটাররা। তামিম জানালেন কে দলের সেরা রাঁধুনি।

ক্রিকেটার বা যেকোনো খেলোয়াড়ের জীবন চলে নিয়মমাফিক। আর দশজনের থেকে তাদের জীবনযাপন একেবারেই আলাদা। বিশেষ করে খাবার-দাবারের বেলায়। কঠিন ডায়েটের অধীনে ক্যালরি গুণে গুণে খেতে হয় তামিম-সাকিব-মুশফিকদের। তবে, সুযোগ পেলে নিজেদের রসনা মেটাতে পিছপা হননা কেউই।ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবাল জানিয়েছেন দলের খাদ্যাভাসের কথা। বিশ্বমানের অ্যাথলিট হতে হলে যে খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে সেই কড়াকড়িটা তামিমের সঙ্গে করেন টাইগারদের সাবেক হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।‘২০১৫ সালে হাতুরুসিংহা আমার দিকে বেশ কড়া নজর রেখেছেন। সেটাই ঠিক ছিল। তার আগে আমি ভাবতাম যতক্ষণ আমি রান করছি ততক্ষণ আমার স্বাস্থ্য কেমন বা আমি কী খাচ্ছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমি সেভাবেই চিন্তা করতাম। কিন্তু অফ ফর্মে থাকার পর দেখা যেত আমার ওজন বেশি আর ফিটনেস নেই। ভারতের বিপক্ষে আমাদের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পর এমসিজিতে হাথুরুসিংহে আমাকে বেশ কিছু কথা বলেন। যেগুলো কাজে লাগে ও আমি তার পর থেকেই উন্নতি করি।’জাতীয় দলে থাকার সময় ক্রিকেটারদের থাকতে হয় ডায়েটিশিয়ান ও ফিটনেস কোচের কড়া নজরদারীতে। কিন্তু যখন জাতীয় দলের বাইরে থাকেন তখন? তামিম জানালেন ক্রিকেটাররা নিজ উদ্যোগেই খাওয়া দাওয়ার দিকে নজর রাখেন।‘জাতীয় দলে থাকার সময় আমাদের খাবার-দাবার ভালো থাকে। অনেক খেলোয়াড়ই আছেন যারা বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট খেলার সময় জাতীয় দলের খাদ্যভ্যাসটা ধরে রাখেন। আমি বেশ কয়েকবার তেমনটা পারিনি। তবে গত দুই বছর নিয়ন্ত্রণ করেছি।’ফ্র্যাঞ্চাইজি ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কল্যাণে প্রচুর বিদেশি ক্রিকেটার আসেন বাংলাদেশের। বাংলাদেশি খাবারের স্বাদে মুগ্ধ হন সবাই। তামিম চান তার নিজ এলাকা চট্টগ্রামের জনপ্রিয় একটি ডিশ খাওয়াতে।‘চট্টগ্রামে যখন বিপিএলের খেলা থাকে, অনেকেই কালো ভুনা খেতে চায়। ওদের জন্য কিছুটা ঝাল এটা। তবে, সবচেয়ে বেশি যেটা ওরা চেষ্টা করে সেটা হচ্ছে হাত দিয়ে খাওয়া। বিদেশি সবাই এই চেষ্টা করেছে।’লম্বা সিরিজ খেলার সময় মাসের পর মাস একসঙ্গে থাকতে হয় টাইগারদের। হোটেলের খাবারে অরুচি এসে গেলে নিজেরাই রান্না করেন ক্রিকেটাররা। তামিম জানালেন কে দলের সেরা রাঁধুনি।‘যখন লম্বা সফরে থাকি যদি হোটেলে রান্নাঘর ব্যবহার করার সুবিধা থাকে তাহলে আমরা দলবেঁধে রান্না করি। ইমরুল কায়েস আমাদের হেড শেফ। ও যখন না থাকে তখন মুশফিক দায়িত্ব নেয়। ও খুবই ভালো রান্না করে। বিশেষ করে মুরগী খুব ভালো রাঁধে। আমরা সাধারণত খিচুড়ি, মুরগি আর নানা রকম ভর্তা বানাই। সাউথ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার অনেক সফরেই আমরা এমনটা করেছি।’নিজে কখনও রান্না করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তামিমের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘আমি সবকিছুর আয়োজন করি।’

এ বিভাগের আরো খবর