পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনটা ঠিক যতটুকু বাজে যাওয়া সম্ভব, ঠিক ততটুকুই যেন গেল বাংলাদেশের। নির্বিষ উইকেটে সারা দিন খেটে মরেছেন বাংলাদেশ বোলাররা। মিলেছে কেবল মাত্র এক উইকেট।
সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। করুনারত্নে ১১৮ রানে ফিরলেও ফেরেননি থিরিমান্নে। দিন শেষে তিনি অপরাজিত ১৩১ রানে।
আর এই দুই ইনিংসে ভর করে প্রথম দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ১ উইকেটে ২৯১ রান।
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র উইকেট শিকার করেন অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম। ক্রস সিম এক ডেলিভারিতে করুনারত্নেকে উইকেটকিপার লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান তিনি।
১৬৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া করুনারত্নে আউট হওয়ার আগে ১৫টি চারের সহায়তায় করেন ১১৮।
সেঞ্চুরি তুলে নেন থিরিমান্নেও, তবে তার লাগে ২১২ বল। অধিনায়কের মতো সেঞ্চুরির পরপরই ফিরে যাননি তিনি। দিনের খেলা শেষ করেই ফিরেছেন।
তার সঙ্গে উইকেটে আছেন ওশাদা ফার্নান্দো, যিনি অপরাজিত ৪০ রানে। তাদের জুটি ইতিমধ্যে তুলে ফেলেছে ৮২ রান।
আউট প্রায় হয়েই গিয়েছিলেন থিরিমান্নে। দিনের শেষ ওভারে শরিফুলের বলে পরাস্ত হলে প্যাডে লাগে তার। বাংলাদেশের আবেদনে আঙুলও তুলে দেন আম্পায়ার।
কিন্তু রিভিউ নেন থিরিমান্নে, রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যাচ্ছিল স্টাম্পের ওপর দিয়ে। তাতে বেঁচে গিয়ে দিনের খেলা শেষ করে ফেরেন এ বাঁহাতি ওপেনার।
অথচ দিনটা ভিন্ন রকম হতে পারত বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে একাধিক সুযোগ তৈরি করেন তাসকিন আহমেদ। তার বলে ২৮ রানে স্লিপে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। সেটি ধরতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। বেঁচে যান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক।
তার আগে তাসকিনের বলেই আরেকটি ক্যাচ ওঠে করুনারত্নের ব্যাট থেকে। সেটি পৌঁছায়নি মিড অফে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকের কাছে।
পরের ওভারে থিরিমান্নের ব্যাটের কানা খুঁজে নেন তাসকিন। কিন্তু বল স্লিপ ও গালির মধ্য দিয়ে চলে গেলে উইকেট পাওয়া হয়নি সফরকারী দলের।
আবু জায়েদ রাহির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচের জন্য একটি রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু আল্ট্রাএজে ব্যাট ও বলের মধ্য স্পষ্ট দূরত্ব দেখা গেলে প্রথম সেশনে রিভিউ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
একাদশে একটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। এবাদত হোসেনের পরিবর্তে অভিষেক হয় তরুণ পেইসার শরিফুল ইসলামের।
শ্রীলঙ্কাও আনে দুটি পরিবর্তন। চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়া পেইসার লাহিরু কুমারার বদলে অভিষেক হয় স্পিনার রমেশ মেন্ডিসের। বাদ পড়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার বদলে খেলছেন প্রাভিন জয়াউইক্রামা।