পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বেশ বিপদে আছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনের প্রথম সেশনে তো বটেই উইকেট আসেনি দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টায়ও। সঙ্গে ফিফটি তুলে নিয়ে উইকেটে জমে গেছেন দুই ওপেনার দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে।
তাতে করে দ্বিতীয় সেশনে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১২৬ রান। করুনারত্নে ও থিরিমান্নে অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ৬৪ ও ৬০ রানে।
দ্বিতীয় সেশনে কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। উইকেট থেকেও সাহায্য পাচ্ছেন না বোলাররা, তাতে অনায়াসেই ব্যাটিং করে যাচ্ছেন দুই লঙ্কান ওপেনার।
করুনারত্নে তার ফিফটি তুলে নেন ১১১ বলে, এখন পর্যন্ত মেরেছেন নয়টি চার। অন্যদিকে থিরিমান্নের ফিফটি আসে ১০২ বলে, তার ইনিংসে এখন পর্যন্ত চার সাতটি।
দুজনের জুটি তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায় ২০২ বলে।
প্রথম সেশনে সুযোগ তৈরি করলেও নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের ২০তম ওভারে প্রথম উইকেট তুলে নেয়ার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে ২৮ রানে স্লিপে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। কিন্তু সেটি ধরতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। বেঁচে যান শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক।
তার আগে অবশ্য তাসকিনের বলেই আরেকটি ক্যাচ ওঠে করুনারত্নের ব্যাট থেকে। সেটি পৌঁছায়নি মিড অফে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকের কাছে।
পরের ওভারে থিরিমান্নের ব্যাটের কানা খুঁজে নেন তাসকিন। কিন্তু বল স্লিপ ও গালির মধ্য দিয়ে চলে গেলে উইকেট পাওয়া হয়নি সফরকারী দলের।
আবু জায়েদ রাহির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচের জন্য একটি রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু আল্ট্রাএজে ব্যাট ও বলের মধ্য স্পষ্ট দূরত্ব দেখা গেলে প্রথম সেশনে রিভিউ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে।
একাদশে একটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। এবাদত হোসেনের পরিবর্তে অভিষেক হয় তরুণ পেইসার শরিফুল ইসলামের।
শ্রীলঙ্কাও আনে দুটি পরিবর্তন। চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়া পেইসার লাহিরু কুমারার বদলে অভিষেক হয় স্পিনার রমেশ মেন্ডিসের। বাদ পড়েছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার বদলে খেলছেন প্রাভিন জয়াউইক্রামা।