শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম বলেছিলেন, তারা চান কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশ না হারে।
দুই দিনেরও বেশি সময় ব্যাট করার পর ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। জবাবে অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের ডাবল সেঞ্চুরি ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণা করে ৬৪৮ রানে।
শ্রীলঙ্কা রানের পাহাড় গড়লেও তাইজুলদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছিল। শ্রীলঙ্কা ব্যাট করেছিল পঞ্চম দিন পর্যন্ত। তাতে টেস্ট জেতা না হলেও, হারতে হয়নি বাংলাদেশকে।
এমন মানসিকতায় ঘোর আপত্তি বাংলাদেশ হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর। তার মতে, টেস্ট ড্র করাটা কখনই বিশাল কোনো সাফল্য হতে পারে না। তার মতে দলের মানসিকতায় পরিবর্তন দরকার।
‘এটা হতাশাজনক যখন একটি ড্রকে বিশাল সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আমি টেস্ট ড্র করতে আসিনি। আমরা টেস্ট হারতে চাই না কিন্তু মানসিকতায় পরিবর্তন দরকার। জয়ের জন্য খেলতে হবে ও ড্র করে খুশি হওয়া যাবে না। আমি দলের সঙ্গে আছি ৬-৭টি টেস্ট হয়ে গেছে। দল ও দলের সংস্কৃতি বুঝতে পেরেছি। জানি কোন জায়গায় উন্নতি প্রয়োজন। বিশেষ করে টেস্ট খেলার মানসিক দিকটায়’, দ্বিতীয় টেস্টের আগে প্রেস কনফারেন্সে বলেন ডমিঙ্গো।
সাউথ আফ্রিকার এ কোচ আরও বলেন, এভাবে চললে বাংলাদেশ দল গড়পড়তা পারফরমেন্স নিয়েই খুশি থাকবে। তিনি এমন কিছুর অংশ হতে চান না।
‘টেস্ট হারার একটি ভয় আছে। সেটি দূর করতে হবে। জয়ের জন্য খেলতে হবে। এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে আমরা টেস্ট না হারার জন্য খেলছি। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। এটি করতে সময় লাগবে।। যতক্ষণ না সেই পরিবর্তন আনছি, আমরা এরকম গড়পড়তা পারফরমেন্স নিয়েই খুশি থাকব। আমি এরকম কিছুর অংশ হতে চাই না’, বলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ।
দ্বিতীয় টেস্টের আগে দল সম্পর্কেও আগাম ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন কোচ। জানিয়েছেন, প্রথম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র এক রান করা সাইফ হাসান দলে থাকছেন।
‘অবশ্যই সাইফকে সুযোগ দিতে চাই। টেস্টে ওপেন করাটা কঠিন কাজ। ওপেনারদের মানিয়ে নিতে সময় লাগে। তাকে আগামীকাল আরেকটি সুযোগ দিতে চাই। বাঁহাতি-ডানহাতি ওপেনিং কম্বিনেশন থাকাটা সবসময়ই ভালো ব্যাপার। সাইফ কাল খেলছে’, বলেন ডমিঙ্গো।
দ্বিতীয় টেস্টের জন্য বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম টেস্টের ১৫ জনের স্কোয়াডে কোন পরিবর্তন আনেনি।