শেষ বার তাসকিন আহমেদ টেস্ট খেলেন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। সাউথ আফ্রিকার মাটিতে। সবশেষ উইকেট পেয়েছিলেন চার বছরেরও বেশি সময় আগে শ্রীলঙ্কার গলে।
দুই লম্বা বিরতিকে এক টেস্টেই বিদায় বলেছেন এই পেইসার। রানবন্যার পাল্লেকেলে টেস্টে তাসকিন ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। শ্রীলঙ্কা ৬৪৮ করার পথে তাসকিন ৩০ ওভারে ১১২ রান দিলেও, তুলে নিয়েছেন ওশাদা ফার্নান্দোর উইকেটের সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান দিমুথ করুনারত্নে ও সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয় ডি সিলভার উইকেট।
উইকেট মাত্র তিনটি পেলেও সব দিক মিলিয়ে দারুণই ছিলেন তাসকিন। ধারাবাহিকভাবে ১৪০ কি।মি/ঘন্টা গতির আশেপাশে বল করে গেছেন দারুণ লাইন-লেংথে। ব্যাটসম্যানদেরও ভুগিয়েছেন।
দীর্ঘ সময় পর দলে ফিরে তাসকিনের এমন বোলিং পারফরমেন্সে দারুণ খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। জানান, ডানহাতি এ পেসারের বোলিং উপভোগ করেছেন তিনি।
‘তাসকিনের বোলিং খুবই উপভোগ করেছি। ওর বোলিং দেখে মনে হচ্ছে না যে মাত্র ৬ টেস্ট খেলা খেলোয়াড়। ও গত এক দেড় বছর থেকে অনেক চেষ্টা করছে। অনেক কষ্ট করছে। আমার মনে হয় এটা কষ্টের ফল। ও অনেক এফোর্ট দিয়েছে। যখন দলের দরকার তখন এসেছে। এই কন্ডিশনে এত লম্বা সময় বল করাও কঠিন। আমি খুবই খুশি ওর পারফরম্যান্সে,’ ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সাকিব আল হাসান নেই, এমন অবস্থায় পাঁচ বোলার নিয়ে মাঠে নামাটা হালকা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ সেই ঝুঁকি নিয়েছে।
অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয় সুবিধা হয়েছে (পাঁচ বোলার নিয়ে খেলায়)। আবার হালকা একটু ঝুঁকি ছিল কারণ আমরা কোনো সময় ছয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলি না। পাঁচটা বোলার নিয়ে খেলায় কিছুটা লাভ হয়েছে। টেস্টে যা করা উচিত। বড় দলগুলো সব সময় যা করে।’
বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান আরও জানান, পাঁচ বোলার নিয়ে নামায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনের সঙ্গে চোটের ঝুঁকির কথাও।
‘আত্মবিশ্বাস ছিল (পাঁচ বোলার নিয়ে নামায়)। কারণ শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে পাঁচটা বোলার সব সময় দরকার। আমরা তো প্রায় দুই মাস পরে খেলছি। কেউ ইনজুরিতে পড়লে বিপদে পড়তে হতো। টেস্ট ক্রিকেট যদি সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চান মাঝেমধ্যে পাঁচটা বোলার, ছয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলা উচিত। আর ছয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেললে যেটা হয় সবাই একটু দায়িত্ব নিয়ে খেলে। আর ২০ উইকেট নিতে গেলে ৫ বোলার অবশ্যই দরকার।’
পরের ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ কেমন হবে, সেটি এখনই খোলাসা করতে পারেননি মুমিনুল। বলেন, পিচ না দেখে একাদশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।
‘সত্যি কথা বলতে অ্যাওয়ে সিরিজে উইকেট আগের দিন দেখে (একাদশের ব্যাপারে) সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আপাতত বলা কঠিন কয়টা পেস বোলার, কয়টা ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলব।’