পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্ট দেখেছে কেবল ব্যাটিং। প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাট করে ৫৪১ রান তুলে ঘোষণা করে ইনিংস। এরপর শ্রীলঙ্কাও একই কাজ করে ৬৪৮ রান সংগ্রহের পর।
ড্রয়ের পথেই যে আছে ম্যাচ, সেটি বোঝা যাচ্ছিল চতুর্থ দিন থেকেই। শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে হুট করে দুই উইকেট হারিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালায় বটে। কিন্তু সেটিও নেই হয়ে যায় তামিম ইকবালের দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণে।
মাত্র ৫৬ বলে ফিফটি তুলে নিয়ে চা বিরতিতে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম। বাংলাদেশ তুলে ফেলে ২ উইকেটে ১০০। ড্র-ই যে সম্ভাব্য ফল তাতে দ্বিমত ছিল না কোনো।
সে ড্র তাড়াতাড়ি এনে দিল বৃষ্টি। দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার পরই মুষলধারে নামে বৃষ্টি। সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। পুরো মাঠ ঢেকে দেয়া হয় তাতে। বৃষ্টি থামার পর কমে আসতে থাকে দিনের আলো। দুই আম্পায়ার মিলে প্রায় দেড় ঘন্টার বিরতির পর পরিত্যক্ত করেন দিনের বাকি খেলা।
টানা ২৮ টেস্টে ফল আসার পর ড্রয়ের মুখ দেখল শ্রীলঙ্কার মাটি। সঙ্গে বাংলাদেশও পেলো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম পয়েন্ট।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ৮ নম্বরে থেকে শেষ করত বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম টেস্ট ড্র হওয়ায় নিশ্চিত হলো, সবার শেষে থেকেই প্রথম আসরের সমাপ্তি টানছে বাংলাদেশ।
পাল্লেকেলের মরা পিচে প্রভাব রাখতে পারেননি কোনো বোলারই, তাতে বয়েছে রানবন্যা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক, ফিফটি করেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। একমাত্র ব্যর্থ ছিলেন ওপেনার সাইফ হাসান, যিনি ব্যর্থ হন দ্বিতীয় ইনিংসেও।
প্রথম ইনিংসের সাফল্য দ্বিতীয় ইনিংসে টেনে আনতে পারেননি শান্ত, ১৬৩ করার পর আউট হন শূন্য রানে।
বাংলাদেশের দুই ইনিংসের মাঝে রানপাহাড় গড়েছে শ্রীলঙ্কাও। অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের ২৪৪ ও ধনঞ্জয় ডি সিলভার ১৬৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৬৪৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।
দুই দলের দ্বিতীয় টেস্ট হবে একই মাঠে। শুরু হবে ২৯ এপ্রিল।