প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করলেও, সেঞ্চুরিটা পাননি। ৯০ রানে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন ব্যর্থ মনোরথে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ফর্মটা ধরে রাখলেন তামিম ইকবাল। মাত্র ৫৬ বলে তুলে নেন ফিফটি। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশকেও নিয়ে এসেছেন স্থির অবস্থানে।
তামিমের অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০০। শ্রীলঙ্কার চেয়ে এখনও ৭ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
তামিমের সঙ্গে উইকেটে আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। তিনি অপরাজিত আছেন ২৩ রানে।
দ্বিতীয় সেশন শেষেই মুষলধারে শুরু হয় বৃষ্টি। ঢেকে দেয়া হয় পুরো মাঠ। এর ফলে দিনের শুরুতে থাকা ড্রয়ের সম্ভাবনাই এখন প্রবল। বৃষ্টির সঙ্গে চলছে বজ্রপাতও, শিগগিরই বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সেটি হলে তামিমের সেঞ্চুরি পাওয়ার সম্ভাবনা যেমন নেই, তেমনই নেই এই ম্যাচে কোনো দলের পক্ষে ফল আসার।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সুরাঙ্গা লাকমলের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অফ স্টাম্পের বাইরের বল ছোঁয়া দিয়ে যায় সাইফের ব্যাটে। ক্যাচ ধরতে ভুল করেননি উইকেটকিপার নিরোশান ডিকওয়েলা। তাতে ৮ বলে ১ রানে ফিরতে হয় সাইফকে।
তার পরে ফিরে যান প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ১৬৩ করা নাজমুল হোসেন শান্তও। লাকমলের বল ব্যাটের কানায় লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে শান্তর। তাতে পঞ্চম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও শূন্য রান করার ‘রেকর্ড’ করেন শান্ত।
তামিমও ছিলেন আউট হওয়ার খুব কাছে। ধনঞ্জয় ডি সিলভার একটি বল ড্রাইভ করেন। সেটি সিলি পয়েন্টে থাকা খেলোয়াড়ের বুটে লেগে ফিরে আসলে ক্যাচ ধরেন ডিকওয়েলা। আম্পায়ার সফট সিগন্যাল হিসেবে আউট দিলেও রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন বল লেগেছে মাটিতে। আউট হননি তামিম।
এরপর মুমিনুলের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েও নষ্ট করেছে শ্রীলঙ্কা। বাঁধা পেরিয়ে তামিম ও মুমিনুলের জুটি যোগ করেছে ৭৩ রান, তাতে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ।
এর আগে দিমুথ করুনারত্নের ডাবল সেঞ্চুরি ও ধনঞ্জয় ডি সিলভার সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ৫৪১ রানের জবাবে ৬৪৮/৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।