পাল্লেকেলতে শ্রীলঙ্গার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাজে দিন গেছে বাংলাদেশের। দিনজুড়ে বোলিং করেও একটি উইকেট তুলে নিতে পারেননি তারা।
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫১২। বাংলাদেশের সংগ্রহ থেকে তারা পিছিয়ে মাত্র ২৯ রানে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তাদের অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নে। যা টেস্টে তার প্রথম। ২১ চারের সহায়তায় এই মাইলফলকে যেতে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক খরচ করেন ৩৯৭ বল।
অন্য প্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গে দিচ্ছেন ধনঞ্জয় ডি সিলভাও। ২৭৮ বলে তিনি অপরাজিত আছেন ১৫৪ রানে। যা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস।
এই দুজনের জুটি মিলে যোগ করেছে ৩২২ রান। যা এই মাঠে তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
চতুর্থ দিনের পুরোটাই হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশ দলকে। বলতে গেলে কোনো সুযোগই দেননি তাদের দুই শ্রীলঙ্কা ব্যাটসম্যান মিলে। তাতে বলের পর বল করে গিয়েছে টাইগাররা উইকেট নামের সোনার হরিণের দেখা মেলেনি।
এই নিয়ে টেস্টে চতুর্থবারের মতো উইকেটবিহীন দিন কাটালেন বাংলাদেশি বোলাররা। এর আগে ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে সাউথ আফ্রিকার জাক রুডলফ ও বোয়েটা ডিপেনার, চার বছর পর ঢাকাইয় ভারতের শচীণ টেন্ডুলকার ও রাহুল ড্রাভিড, ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে সাউথ আফ্রিকার নিল ম্যাকেঞ্জি ও গ্রায়েম স্মিথ বাংলাদেশি বোলারদের পুরো দিন উইকেটশূন্য রাখেন।
এখনও শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণা না করায় এই ম্যাচের অবশ্যম্ভাবী ফল হতে যাচ্ছে ড্র, যদি না ঘটে কোনো চমকপ্রদ ঘটনা।
পাল্লেকেলেতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আলোকস্বল্পতায় ঘণ্টা খানেকের খেলা নষ্ট হয়। চা বিরতির মাত্র পাঁচ ওভার পর আলোকস্বল্পতা থাকায় প্রথমবারের মতো মাঠ ছাড়ে দুই দল।
খেলা বন্ধ হওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৪৫৭। এরপর আলোর উন্নতি হলে ব্যাট করতে নেমে করুনারত্নে পূর্ণ করেন তার ডাবল সেঞ্চুরি আর ধনঞ্জয় পেরিয়ে যান দেড় শ।
নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা আগে আবারও আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হলে, মাঠ ছাড়ে দুই দল। এরপর আর খেলা গড়ায়নি মাঠে।
এর আগে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি ও তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে তৃতীয় দিনে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।