২৩ এপ্রিল ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীণ টেন্ডুলকারের ৪৮তম জন্মদিন। মহান এই ক্রিকেটারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ও বর্তমান ক্রীড়া তারকারা। তাদেরকে ধন্যবাদ জানানোর পাশপাশি বিশেষ এক বার্তা জানান শচীণ। মাত্রই কোভিড থেকে সেরা ওঠা এই কিংবদন্তি এক টুইটার ভিডিওতে সবাইকে আহ্বান জানান প্লাজমা দান করার।তার জন্মদিনে বিশেষ পোস্ট দিয়েছে আইসিসি ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।আইসিসি তাদের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে শচীণের ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ‘সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক রানের মালিক, সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির মালিক,বিশ্বকাপ জয়ী ও আইসিসি হল অফ ফেমার। ভারতীয় কিংবদন্তি আজ ৪৮ পূর্ণ করলেন। শুভ জন্মদিন শচীণ।’বিসিসিআই তার ছবি ও ক্যাপশনের সঙ্গে শচীণের একমাত্র ওয়ানডে ডাবল সেঞ্চুরির হাইলাইটস ও পোসড় করেছে তাদের টুইটার হ্যান্ডলে।ভারতীয় ক্রিকেট ঈশ্বরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। শচীণ আইপিএল খেলেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে। তারা টুইট করেছে, ‘একজন মানুষ। একটাই ধ্বনি। অসংখ্য আবেগ।শুভ জন্মদিন মাস্টার ব্লাস্টার।’ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক এবং অনেকের দৃষ্টিতেই শচীণের উত্তরসূরি ভিরাট কোহলিও শুভেচ্ছা জানান তার সাবেক সতীর্থকে।‘বহু ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা ও সর্বকালের অন্যতম সেরা। শুভ জন্মদিন শচীণ।’ভারতের এই সাবেক অধিনায়কের সতীর্থরাও শুভেচ্ছা জানান তাকে। ইউভরাজ সিং, সুরেশ রায়না ও ভেঙ্কটেশ প্রসাদ নিজ নিজ সোশ্যল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন শচীণকে নিয়ে।সাবেক ভারতীয় ব্যাটসম্যান ইউভরাজ সিং শচীণের কোভিড থেকে সেরে ওঠা নিয়েও শুভেচ্ছা জানান। এক ইনস্ট্যাগ্রাম ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘কিংবদন্তি মাস্টার ব্লাস্টারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা।আপনাকে পুরো সুস্থ হয়ে ফিরতে দেখে দারুণ লাগছে।’সাবেক ভারতীয় পেইসার প্রসাদ লেখেন, ‘সাচ (শচীণ)-ই সত্য, সাচই জীবন, সাচই জবাব, সাচই আসল।। শুধুমাত্র বিশ্বের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানকে নয় একজন অসাধারণ ও অমায়িক মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।’পুরো দিন জুড়ে ভক্ত, সতীর্থদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত খোদ শচীণ। এক ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ভিডিওতে বলেন, ‘আপনাদের সবার শুভেচ্ছার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। গত মাসটা আমার জন্য বেশ কঠিন ছিল। কোভিড পজিটিভ হওয়ায় আমাকে ২১ দিন আইসোলেশনে থাকতে হয়। আপনাদের সকলের প্রার্থনা, আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও ডাক্তারদের প্রচেষ্টাতে আমি ইতিবাচক ছিলাম ও সুস্থ হতে পেরেছি। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’ভিডিওর শেষে শচীণ গুরুত্বপূর্ণ এক বার্তাও দেন সবার উদ্দেশ্যে। বলেন, ‘গতবছর আমি একটা প্লাজমা সেন্টার উদ্বোধণ করেছিলাম। ঐ প্লাজমা সেন্টার থেকে আমাকে অনুরোধ করা হয়েছে যেনো আমি এই বার্তাটা আপনাদের দেই। প্লাজমা নিলে রোগী দ্রুত সেরে উঠতে পারেন। আমি নিজেও ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি ও প্লাজমা দান করতে যাচ্ছি। আপনারাও আপনাদের ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। যদি সম্ভব হয় তাহলে দান করুন। এতে অনেক কষ্ট দূর হবে।’১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের মহারাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেন শচীণ টেন্ডুলকার। মাত্র ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তার অভিষেক হয় ১৯৮৯ সালে। এরপরের ২৪ বছর শাসণ করেছেন ক্রিকেট জগত।খেলাটির ব্যাটিং-এর প্রায় সব রেকর্ড তার দখলে। সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, রান, বাউন্ডারি, ম্যান অফ দ্য ম্যাচ পুরস্কার, সর্বোচ্চ সংখ্যক ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলাসহ অসংখ্য রেকর্ড তার নামের পাশে। জিতেছেন ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিদায় নেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।