বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য অন্ধকার মুহূর্ত: রাজা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০৯:৫১

জিম্বাবুয়ের করা ১১৮ রান তাড়া করতে গিয়ে একপর্যায়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৭৮/৩। সেখান থেকে ২১ রানে শেষ সাত উইকেট হারায় সফরকারী দল। শেষ ওভারে হারায় তিন উইকেট। জিম্বাবুয়েকে ‘ক্লাব পর্যায়ের’ দল উল্লেখ করে রাজা বলেন, ক্রিকেটারদের টেকনিক্যাল সমস্যা তো বটেই, মানসিক সমস্যাও আছে।

তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে দলের এমন হার মেনে নিতে পারেননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা। দিনটিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ‘অন্ধকার মুহূর্ত’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘রমিজ স্পিকস’-এ ম্যাচের পর পাকিস্তান ক্রিকেট দলের তীব্র সমালোচনা করে রমিজ বলেন, এই হার লজ্জাজনক।‘কিছু কিছু হার থেকে শেখা যায়। তবে এমন হার থেকে কিছু শেখার নেই। এখান থেকে শুধু লজ্জা পাওয়ার আছে। ১২তম র‌্যাঙ্কের জিম্বাবুয়ের কাছে হারার মতো দল নয় চতুর্থ র‌্যাঙ্কের পাকিস্তান।’ক্রিকেট অনিশ্চিয়তার খেলা হলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন হার মেনে নিতে নারাজ রাজা। ম্যাচ হারের ভয়ই বাবর আজমের দলকে কাবু করেছে বলে মনে করছেন সাবেক এ অধিনায়ক।‘আমাদের সিস্টেমটাই এমন যেখানে সবসময়ই বলা হয় হারা যাবে না। যা কিছুই করো হারতে পারবে না। এটা বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, যা সেরা দলগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে।

‘আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেরা দল খেলিয়েও খুব একটা লাভ নেই। কারণ এমন সিরিজ থেকে খুব বেশি কিছু একটা পাওয়ার নেই। আপসেট হলে মানসিক চাপ তৈরি ও আত্মবিশ্বাস কমে যায়। এটা পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য অন্ধকার মুহূর্ত।’জিম্বাবুয়ের করা ১১৮ রান তাড়া করতে গিয়ে একপর্যায়ে পাকিস্তানের রান ছিল ৭৮/৩। সেখান থেকে ২১ রানে শেষ সাত উইকেট হারায় সফরকারী দল। শেষ ওভারে হারায় তিন উইকেট। জিম্বাবুয়েকে ‘ক্লাব পর্যায়ের’ দল উল্লেখ করে রাজা বলেন, ক্রিকেটারদের টেকনিক্যাল সমস্যা তো বটেই, মানসিক সমস্যাও আছে।‘টেকনিকে শুধু সমস্যা না। মানসিক সমস্যাও আছে। ওদের মাত্র একজন ভালো বোলার ছিল। মুজারাবানি। তাকেই পাকিস্তান খেলতে পারেনি ঠিকমতো। খরগোশ যেমন গাড়ির হেডলাইটের সামনে এলে থমকে থাকে, বুঝতে পারে না কী করবে, পাকিস্তান দলেরও একই অবস্থা হয়েছে। ক্লাব পর্যায়ের একটা দলের বিপক্ষে খুবই সাধারণ মানের পারফরম্যান্স ছিল।’ম্যাচে তরুণ খেলোয়াড় নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেটার।

তিনি বলেন, ‘তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে ঘরোয়া ও ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের ঝলক দেখা গেছে। অহেতুক শট খেলা, অযথা রান নেয়া, ওভার কনফিডেন্স দেখা গেছে, যার কারণে ম্যাচ হেরে গেছে পাকিস্তান।’দলের এমন পরিণতির জন্য রাজা আঙুল তোলেন ক্রিকেট বোর্ডের দিকে। তাদের নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে ঝুঁকি না নেয়ার কারণেই একই দল নিয়ে বারবার খারাপ পারফরম্যান্স করছে পাকিস্তান, এমনটাই মনে করেন তিনি।‘এ রকম হার আমাদের পুরো ক্রিকেট ইন্ডাস্ট্রি, স্পন্সর, ভক্ত-সমর্থক, এমনকি ক্রিকেটারদের জন্য বড় ধাক্কা। আমাদের ক্রিকেটবোদ্ধা যারা আছেন, তারা ভেবে চলেছেন যে দলটা আছে, তারাই শুধু প্রতিভাবান। এদের হারা চলবে না। নতুন খেলোয়াড়রা এসে ম্যাচ হারিয়ে দিতে পারে, যে কারণে তারা কোনো ঝুঁকিই নিতে চান না। এ রকম চিন্তাধারার কারণে পাকিস্তানের ক্রিকেট উপরের দিকে না উঠে নিচে নামছে।’জিম্বাবুয়েতে আসার আগে সাউথ আফ্রিকাকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় পাকিস্তান। তাদের সামনে এই সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয় পাওয়া জিম্বাবুয়ের সামনে থাকছে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম সিরিজ জয়ের হাতছানি। রোববার হারারেতে সিরিজের শেষ ম্যাচ।

এ বিভাগের আরো খবর