কথায় আছে, ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। বাংলাদেশ দলের অনেকটা অবস্থা এমনই।
বছরের শুরুতেই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চতুর্থ ইনিংসে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে তাইজুল ইসলাম বলেছিলেন, জয়ের জন্য ২৫০ রানই যথেষ্ট।
কিন্তু লেখা হয়েছিল ভিন্ন গল্প। কাইল মায়ার্সের অবিশ্বাস্য এক ডাবল সেঞ্চুরির জোরে এশিয়ার মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে ক্যারিবীয়রা।
সেই সিরিজের পর পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির সঙ্গে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ফিফটিতে বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে।
জবাবে শ্রীলঙ্কা ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ২২৯ রানে। এখনও তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ৩১২ রানে।
এমন অবস্থায়, ম্যাচের ফল আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। পিচ এখনও ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কাজ করছে. এ অবস্থা চললে, ড্রই হতে পারে খেলার ফল।
বাংলাদেশ যদি কোনোভাবে শ্রীলঙ্কাকে তাদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দিতে পারে দ্রুতই তবে আসতে পারে ফল। সেই লক্ষ্য পূরণ করতে তাইজুল জানালেন, তারা বল করতে চেষ্টা করবেন নিয়ন্ত্রিতভাবে। ম্যাচ যেন হাতছাড়া না হয়, সেদিকেও নজর রাখবেন তারা।
‘উইকেট অনেক ভালো। আমি প্রথমেই বলেছি আমাদের কালকেও পরিকল্পনা থাকবে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করা, রান আটকানো। আমাদের হয়ত জেতার জন্যই খেলব, কিন্তু কোনো সময় যেন আমাদের থেকে ম্যাচ হাতছাড়া না হয়,’ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন এ বাঁহাতি স্পিনার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারের সেই তিক্ত স্মৃতি বয়ে নেওয়ার ফলই হয়তো এই। জেতার জন্য খেলবেন কি না, সেটি নিয়ে সন্দেহে থাকলেও ম্যাচ হাতছাড়া করা যাবে না সেটি নিয়ে দ্বিধা নেই সামান্য।
পিচে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে কিছু ক্ষতচিহ্ন বা রাফ। সেগুলোই চতুর্থ দিনে ব্যবহারের পরিকল্পনা কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তাইজুল জানান, পিচে যে রাফ আছে, তা ব্যবহার করেও খুব বেশি সাহায্য পাচ্ছেন না তারা।
‘যেখানে রাফ আছে ওখানে যে শার্প টার্ন করে যে দ্রুত ভেতরে বা বাইরে যাচ্ছে তেমন না। স্পিনারদের জন্য খুব ফাস্ট উইকেট না, স্লো ধরণের। খুব শার্প টার্ন করবে না। আমাদের প্ল্যান ব্যাটসম্যান বুঝে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে বল করতে হবে,’ বলেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী।