প্রায় প্রতিটি সিরিজের আগেই বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে আনা হয় পরিবর্তন। কেউ এক টেস্ট খেলে আর সুযোগ পান না। কেউ হুট করে সুযোগ পেয়ে যান কিংবা কেউ নিয়মিতভাবে পারফর্ম করলেও জায়গা মেলে না।
বাংলাদেশ দলের তরুণ খেলোয়াড়রা দলে না থাকলেও হাই পারফরম্যান্স দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কিন্তু যারা তুলনামূলক আরও একটু অভিজ্ঞ এবং জাতীয় দলে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন, তাদের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।
বাংলাদেশ হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপমেন্ট চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
‘এই বিষয়ে আমি চাচার (সুজন) সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরেই কথা বলছি। এই বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য যে যারা জাতীয় দলে নেই তাদের জন্য কী উপায় তৈরি আছে। আমি সৌম্য (সরকার), মাহমুদুল্লাহদের উদাহরণ দিয়ে জিজ্ঞাসা করি, তাদের কে দেখভাল করছে এখন? কী ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে? এটা খুবই কঠিন এবং এই পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। এটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ যেটি নিয়ে আমরা অবহিত আছি এবং এ বিষয়ে আমরা ভবিষ্যতে এগুতে চাই’, বলেন ডমিঙ্গো।
পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪ উইকেটে ৪৭৪।
ডমিঙ্গো জানান, খেলোয়াড়রা গত দুই সপ্তাহ ধরে সমালোচনায় বিদ্ধ হওয়ার পর দেশের বাইরে এসে ভালো করায় তিনি খুশি।
‘আমি স্বস্তি পাইনি কিন্তু আমি জানি যে আমাদের খেলোয়াড়রা ভালো খেলতে পারে না। আমাদের দলে ভালো কয়েকজন ব্যাটার আছে যারা ভালো একটি পিচে রান করেছে। আমি তাদের জন্য খুশি। তারা ফিরে এসেছে এবং দেশের বাইরে দারুণ পারফর্ম করেছে। তারা ইতিবাচক ও ক্ষুধার্ত ছিল এবং খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন এই টেস্টে ভালো ফল পেয়েছে’, বলেন এ সাউথ আফ্রিকান কোচ।