পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে আধিপত্য ছিল বাংলাদেশের। সেঞ্চুরি তুলে নেন দুই ব্যাটার মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে দুজনকেই হারায় বাংলাদেশ। দুই উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৪৪০।
শান্ত ১৬৩ ও মুমিনুল ১২৭ রান করে বিদায় নেন। শ্রীলঙ্কার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দ্বিতীয় সেশনে রান নিতে ভুগেছে বাংলাদেশ। ২৭ ওভারে নিতে পেরেছে মাত্র ৬২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। মুশফিক অপরাজিত আছেন ২২ রানে, লিটন ১২ রানে।
বাংলাদেশের তৃতীয় উইকেট হিসেবে বিদায় নেওয়ার আগে শান্ত করেন ১৬৩। লাহিরু কুমারাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ম্যারাথন ইনিংস শেষ করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শান্ত। তাতে ভাঙে মুমিনুল হকের সঙ্গে তার ২৪২ রানের জুটি। যা তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ।
নিজের ১৬৩ রানের ইনিংসে ৩৭৮ বল খেলেন শান্ত। যা বলের হিসাবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। শান্ত তার ইনিংসে চার মারেন ১৭টি, ছয় ১টি।
মুমিনুল ফেরেন ১২৭ রানে। ধনঞ্জয় ডি সিলভার বলে স্লিপে লাহিরু থিরিমান্নেকে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ৩০৪ বলের ইনিংস শেষ হয় বাংলাদেশ অধিনায়কের। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টেস্টে কোনো ইনিংসে ৩০০ বলের বেশি খেলার পর ফিরে যান এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
শান্ত ও মুমিনুলের জুটি ছিল ২৪২ রানের, যা করতে বল লেগেছিল ৫১৭টি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি।
নামার পর দুই বার ফিরতে পারতেন মুশফিকুর রহিম। একবার রিভিউ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, পরেরবার আম্পায়ার আউট দেওয়ায় রিভিউ নিয়েছিল মুশফিকই। দুবারই ইনসাইড এজ থাকায় বেঁচে যান এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।