পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের।
ওপেনার সাইফ হাসানকে হারালেও তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে পুরো সেশনে আধিপত্য বজায় রাখে সফরকারী দল। সংগ্রহ করে ১০৬ রান।
দ্বিতীয় সেশনও একইরকম গেছে টাইগারদের। তামিম ইকবালের উইকেট হারালেও সেশনে ৯৪ রান তুলে নিয়েছে টাইগাররা।
সব মিলিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২০০ রান। উইকেটে আছেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। শান্ত অপরাজিত আছেন ৭৮ রানে। মুমিনুল ২১ রানে।
প্রথম সেশনে মাত্র ৫৩ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া তামিম দ্বিতীয় সেশনেও ছিলেন দারুণ ছন্দে। ছন্দপতন ঘটে বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে, যিনি সকালে সাইফকে ফিরিয়েছিলেন।
৯০ রানে স্লিপে লাহিরু থিরিমান্নের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টেস্টে নার্ভাস নাইন্টিজে কাটা পড়লেন দেশসেরা এ ওপেনার।
তার বিদায়ে ভাঙ্গে ১৪৪ রানের জুটি।
সেখান থেকে আর কোনো বিপদ হতে দেননি শান্ত ও মুমিনুল। শান্ত নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন ১২০ বলে। তামিম ফেরার পর ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন তিনি।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে আর কোনো উইকেট হারায়নি শান্ত ও মুমিনুলের ৪৮ রানের জুটির কল্যাণে। সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ২০০।
শ্রীলঙ্কান বোলারদের মধ্যে উইকেটের দেখা কেবল পেয়েছেন বিশ্ব ফার্নান্দো। বাকি বোলাররা চেষ্টা করলেও এখনও পাননি উইকেটের হদিশ।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক সিদ্ধান্ত নেন ব্যাটিংয়ের। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই সাইফ হাসানকে হারিয়ে ধাক্কা খায় টাইগাররা।
বিশ্ব ফার্নান্দোর ভেতরে আসা বল সাইফ মিস করলে তার প্যাডে লাগে বল। তবে শ্রীলঙ্কার প্রাথমিক আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
ফলে রিভিউ নেয় শ্রীলঙ্কা। সেখানে দেখা যায়, আউট ছিলেন সাইফ। আগের দুই টেস্টেই ব্যর্থ হওয়া সাইফ তাই ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।