দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে এখন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ। ১২ এপ্রিল পৌঁছানোর পর তিন দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে বৃহস্পতিবার অনুশীলন শুরু করেছে টাইগাররা।
কাতুনায়েকের চিলাও মরিস ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে বৃহস্পতিবার নিজেদের ঝালিয়ে নেয় টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কায় ২১ সদস্যের প্রাথমিক দল নিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে আছেন তরুণ ওপেনার সাইফ হাসান। জাতীয় দলের হয়ে দুই টেস্ট খেলে ব্যর্থ হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে জায়গা মেলেনি তার।
এত কিছুর পরেও অবশ্য শ্রীলঙ্কায় আত্মবিশ্বাসী সাইফ। এই সিরিজে সুযোগ পেলে সেটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
‘রান করলে অনেক আত্মবিশ্বাস থাকে আর আমার মনে হয় ব্যাটিং প্রিপারেশন আর ফিটনেস খুব ভালো ছিল। যদিও ম্যাচ খেলিনি। ন্যাশনাল টিমের সাথে যতদিন ছিলাম, ভালো প্র্যাকটিস সেশন ছিল ব্যাটিং ও ফিটনেসের দিক থেকে। সব মিলিয়ে আমার মনে হয়, প্রিপারেশন খুব ভালো। আত্মবিশ্বাসও খুব ভালো আছে। যদি সুযোগ পাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করব’, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক ভিডিওবার্তায় বলেন এই তরুণ ওপেনার।
জাতীয় দলের হয়ে না খেললেও, এমার্জিং দল ও জাতীয় ক্রিকেট লিগে সাম্প্রতিক সময়ে খেলেছেন সাইফ। আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে যেমন পেয়েছেন শতক, সেটি পেয়েছেন এনসিএলেও। সেই পারফরমেন্সগুলো শ্রীলঙ্কায় কাজে লাগাতে চান সাইফ।
‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের সময়ও খুব ভালো প্রস্তুতি চলছিল আমাদের। আমরা যারা বাইরে ছিলাম, খুব ভালো প্র্যাকটিস চলছিল। তারপর আমরা আয়ারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ এর বিপক্ষে যখন খেলেছি, ওখানেও একটা ভালো সিরিজ হয়েছে। তারপর এখানে আসার আগে এনসিএলটাও খুব ভালো একটা প্রস্তুতি ছিল আমাদের। সো ওভারল খুব ভালো একটা প্রস্তুতি ছিল। হোপফুলি ঐ পারফরমেন্সগুলা এখানে কাজে লাগবে’, বলেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের মধ্যে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। সেখানকার পারফরমেন্স যাচাই করে ঘোষণা করা হবে মূল দল। সাইফ তাই মানছেন, প্রস্তুতি ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে যে প্র্যাকটিস ম্যাচটা আছে এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটাই আমাদের সুযোগ এখানের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেয়া ও উইকেট কীরকম হতে পারে, এ ম্যাচটা খেলে আমাদের বুঝতে হবে। তারপর প্রত্যেকটা প্র্যাকটিস সেশন আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যত ক্যাশ ইন করা যায়, ততই আমাদের জন্য ভালো।’