বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বেশির ভাগ ঘরোয়া ক্রিকেটার বিপদে আছেন’

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২১ ১৯:১৫

করোনায় প্রায় বছরখানেক ধরে বন্ধ ঘরোয়া বিভিন্ন স্তরের ক্রিকেট। যে কারণে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে জীবন পার হচ্ছে দেশের ক্রিকেটারদের।

দেশে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এ ঢেউয়ের হাওয়া লেগেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। বিশেষ করে কঠোর লকডাউনের সময় অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকছে সদ্য শুরু হওয়া দেশের ক্রিকেটের জাতীয় ক্রিকেট লিগ।

করোনায় প্রায় বছরখানেক ধরে বন্ধ বিভিন্ন স্তরের ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ। যে কারণে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে জীবন পার হচ্ছে দেশের ক্রিকেটারদের।

হাজারো ক্রিকেটারদের এই হতাশার প্রতিধ্বনি শোনা গেল জাতীয় দলের খেলোয়াড় কামরুল ইসলাম রাব্বির কণ্ঠে।

হোম অফ ক্রিকেটে মঙ্গলবার ব্যক্তিগত অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের কথা বলেন এই পেইসার।

‘অত্যন্ত দুঃখজনক একটা ব্যাপার। প্লেয়ারদের জন্য হতাশার একটা জায়গা। প্রথম শ্রেণি থেকে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগের সব ক্রিকেটার বেশ কঠিন সময় পার করছে। সাধারণ মানুষদের মত ক্রিকেটাররাও কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ফার্স্ট ক্লাস শুরু হয়েছিল। বিসিবিকে ধন্যবাদ পদক্ষেপ নেয়ায়। কিন্তু দুই রাউন্ড শেষ হওয়ার পরই করোনা পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায়।

‘আসলে কিছু করার ছিল না আমাদের। বিসিবিরও কিছু করার নেই। বায়ো বাবলে থেকে যদি জাতীয় লিগটা শেষ করা যেত তাহলে হয়তো ভালো হতো।’

১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে কঠোর লকডাউন চলবে। লকডাউন শেষ হলে বায়ো বাবলের মধ্যেও সম্ভব হলে ক্রিকেটারদের জীবিকার স্বার্থেই জাতীয় লিগসহ খেলা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানান রাব্বি।

‘লকডাউন শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও খেলাটা শুরু করা উচিত। কারণ খেলোয়াড়দের আর্থিক অবস্থা আসলেই খুব ভালোনা। যতটুকু খোঁজ নিয়েছি সব জায়গাতে সবারই অবস্থা খুবই খারাপ। এর থেকে খারাপ আসলে হতে পারেনা। মাঝে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ হওয়াতে কিছু খেলোয়াড় হয়তো কিছুটা টিকে আছে। বেশিরভাগ খেলোয়াড় বিপদে আছে।’

প্রথম বিভাগের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার ছাড়াও শত শত ক্রিকেটার বিভিন্ন লিগে খেলছেন। তারাই বিপদের সর্বোচ্চ সীমায় অবস্থান করছেন উল্লেখ করেন রাব্বি।

‘যারা বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগ খেলেনা তারাই কিন্তু বিপদে। যারা এসব খেলে তাদেরও দেখবেন মাসিক ব্যয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। আপনি যদি বসে বসে এক বছর পার করেন তাহলে কিন্তু প্রায় ১৬-১৭ লাখ টাকা চলে যায়। এটা বিশাল একটা ধাক্কা। আমরা যারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চুক্তিবদ্ধ তারা না হয় কাভার করতে পারছি। কিন্তু যারা চুক্তিবদ্ধ নন তাদের অবস্থা আরও খারাপ।

‘আপনি দেখেন আমরা ৯০ জন প্লেয়ার বেতন পাচ্ছি। জাতীয় দলের কিছু প্লেয়ার আছে। এর বাইরে কিন্তু বেশিরভাগই বেতন পায় না।’

লকডাউনে লিগের শিডিউল বিপর্যয়ে অনিশ্চিয়তায় ফিটনেস ঠিকমতো ধরে রাখা কঠিন মনে করেন তিনি।

‘যেহেতু আমরা জানিনা, কোন সূচি পাইনি কবে খেলা শুরু হবে, সামনে কী টুর্নামেন্ট আছে তাই সবাই দুশ্চিন্তার ভেতরে আছে। অনুশীলন করতে গেলেও প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগের ক্রিকেটারদের যে খরচ হয় সেটাও চালানো কঠিন।

‘মাঠে আসা যাওয়া, গাড়ি হলে তেল কেনা, বাইকের তেল, রিকশা ভাড়া এগুলোও কিন্তু কঠিন অবস্থায় পৌঁছে গেছে। আমাদের কাছে অনেক ফোন আসে। বরিশালের সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে ওখানকার অনেক খেলোয়াড়ই আমাকে ফোন দেয় যে ভাই কবে খেলা? প্রতিদিনই একই প্রশ্ন।’

করোনা পরিস্থিতির একটু উন্নতি হলেই বিসিবির কাছে খেলা শুরুর অনুরোধ জানিয়ে বরিশালের এই ক্রিকেটার বলেন, ‘কিছুতো করার নাই, বিসিবিরও কিছু করার নাই। করোনা একটা মহামারী ভাইরাস। আমার অনুরোধ হল করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যেন দ্রুত খেলা শুরু হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর