টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যখন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল তখন চলতি আইপিএলে রাজস্তান রয়্যালসের জার্সিতে অভিষেক হলো মুস্তাফিজুর রহমানের। তার উইকেটহীন খরুচে বোলিং পারফরম্যান্সের সঙ্গে যোগ হয়েছে দলের হার।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম দারুণ থ্রিলারের মধ্য দিয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে হারের স্বাদ দিয়েছে পাঞ্জাব কিংস।
থ্রিলারের রোমাঞ্চটা শুরু হয়েছিল ম্যাচের শুরু থেকে। টস জিতে মোস্তাফিজরা বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ব্যাটিংয়ে নামে লোকেস রাহুলরা। শুরু থেকেই আক্রমাণত্মক খেলতে শুরু করে পাঞ্জাব কিংস। ওপেনিংয়ে নেমে দলের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল করেন ৯১।
সেঞ্চুরি পেতে পেতে পাওয়া হয়নি তার। মাঝে ক্রিস গেইলের ২৮ বল ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস ও দ্বীপক হুদার ২৮ বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসের সংগ্রহ গিয়ে পৌঁছায় ২২১ রানে।
চার ওভার বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ। কোটার সবগুলো ওভার বল করা বোলারদের তালিকায় সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন কাটার মাস্টার।
ব্যাটিংয়ে জবাব দিচ্ছিল রাজস্থান রয়্যালস। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি উপহার দেন দলের অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। তার বীরত্বগাঁথা ফুলটাও এক সময় কাঁটা হয়ে ফেরত এলো। দ্বিতীয় ইনিংসজুড়ে স্যামসন চার-ছয়ের কলরব। মাঝে তাকে সঙ্গ দেয়া জস বাটলারের ২৫, শিভাম দুবের ২৩ ও রিয়ান পরাগের ২৫ রান, ম্যাচটা প্রায় জিতে যাচ্ছিল রাজস্তান।
শেষ ওভারের অনাকাঙ্ক্ষিত টুইস্টই যেন খেলাটাকে রোমাঞ্চকর করে তুলল। জিততে হলে ৬ বলে ১৩ রান তুলতে হবে রাজস্থানকে। রানের ঝড় তোলা স্যামসন ব্যাটিংয়ে। প্রথম তিন বলে তিন রান নিয়ে বিপদে পড়ে যায় রাজস্থান। চতুর্থ বলে ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচকে জয়ের সম্ভাবনা দেখান সেঞ্চুরি পাওয়া স্যামসন।
২ বলে যখন ৫ রান লাগে তখন পঞ্চম বলে সুযোগ থেকেও রান না নিয়ে স্ট্রাইক পজিশনে রইলেন। দলকে একাই কাঁধে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখানো আত্মবিশ্বাস নিয়ে শেষ বলটা উঁচু করে মারলেন ঠিক, তবে তা চলে যায় লং অফে থাকা ফিল্ডারের হাতে।
রোমাঞ্চকরভাবে ম্যাচটা চার রানের জয়ে পকেটে পুড়ে নিয়ে আইপিএলের এই ১৪তম আসর শুরু করল পাঞ্জাব কিংস।