করোনা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না জাতীয় ক্রিকেট দলের। ঘরের মাঠে আনকড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হতাশার সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের কাছে ভরাডুবি দিয়ে মনোবনে চিড় ধরেছে টাইগারদের। আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে লঙ্কান সিরিজকে সামনে রেখে রাজধানী ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্ট ম্যাচের সিরিজ খেলবে মামুনুলরা। দলের কাছে পজিটিভ মানসিকতা আশা করছেন বাংলাদেশ দলের টিম লিডার ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন।
সোমবার দুপুরে ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি বলেন, ‘এই জিনিসটা মাথায় নিয়েই খেলতে হবে, পজিটিভ, আক্রমনাত্মক ক্রিকেট। সবসময় পজিটিভ ক্রিকেট খেলার কথা বলি। অ্যাটিচিউড অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে অ্যাটিচিউড আমি দেখেছি দুই বছর আগে। সেরকমটা দেখতে চাই। মাঠে লড়াই করবে, ফল কি হবে পরে দেখা যাবে। কিন্তু লড়াই করতে চাই।’
গত দুই সিরিজ মিলিয়ে মোট আট ম্যাচে জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ দল। এই সিরিজে সেই খরা কাটিয়ে উঠতে চান মাহমুদ।
বলেন, ‘অবশ্যই আমরা চাই জিততে। ওখানে সেরা ক্রিকেট খেলতে চাই। যে দল ভালো খেলবে তারাই জিতবে। পাঁচ দিনের খেলা এ কারণে সেশন বাই সেশন ধরে এগোতে হবে। চট্টগ্রাম টেস্টে (উইন্ডিজের বিপক্ষে) আমরা চার দিন ডমিনেট করেও হেরে গেছি, এমনটা করতে চাইনা। লম্বা সময় মনোযোগ ধরে রাখতে চাই।’
শ্রীলঙ্কায় খেলার অভিজ্ঞতা সিরিজে আত্মবিশ্বাস হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন টাইগারদের টিম লিডার।
‘যদিও আমরা শেষ টেস্ট ভালো করি নাই। আমরা জানি আমাদের ক্যাপাবিলিটি আছে। নিউজিল্যান্ডে ভালো খেলতে পারিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় আলাদা পরিবেশে খেলব। সেখানকার কন্ডিশনটা আমরা জানি। কলম্বোতে খেলেছি, সেখানকার কন্ডিশনটা জানা আছে। আমরা চেষ্টা করবো আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এখনও কোনো পয়েন্টের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এবার সেই আক্ষেপ মেটাতে দলের তরুণ ও অভিজ্ঞদের নিয়ে দলীয়ভাবে পারফর্ম করতে হবে বলে জানান মাহমুদ।
‘আমি তরুণ বলিনা। আমার কাছে সবাই সমান আসলে। যদিও তামিম, মুশফিক মুমিনুলের অভিজ্ঞতা অনেক। তারপরও দায়িত্ব সবার সমান। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়ে আপনি যখন নামবেন তখন দায়িত্বটা সবারই সমান। ভালো খেলার দায়িত্ব সবারই।’
দুই টেস্টের জন্য ২১ জনের স্কোয়াডসহ প্রাথমিক দলের সঙ্গে কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও বিসিবি কর্মকর্তা মিলিয়ে প্রায় ৪০ জনের বেশি সদস্যের বহর নিয়ে সফরে গেছে বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে তিন দিনের কোয়ারেন্টাইন সময় কাটিয়ে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল অনুশীলন করবে মুমিনুলরা। এরপর ১৭ থেকে ১৮ এপ্রিল নিজেদের মধ্যে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।
১৯ ও ২০ এপ্রিল থাকছে দুই দিন অনুশীলনের সুযোগ। অনুশীলন শেষে ২১ এপ্রিল শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। দুটি টেস্টই হবে পাল্লেকেলেতে। সিরিজ শেষে ৪ মে দেশে ফিরে আসবে বাংলাদেশ দল।