শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য চাই ৩৪। সেখান থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের জন্য সমীকরণটা এবি ডি ভিলিয়ার্স নামিয়ে নিয়ে আসেন ৩ বলে ৩ রানে।
কিন্তু তখনই অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স, রান আউট হয়ে ফেরেন ডি ভিলিয়ার্স। তবে তাতে অবশ্য হারেনি ব্যাঙ্গালোর।
গত দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে শেষ বলে দুই উইকেটে হারিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসর শুরু করেছে ব্যাঙ্গালোর।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ব্যাঙ্গালোর অধিনায়ক ভিরাট কোহলি। চতুর্থ ওভারেই মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা রান আউট হলে ভালো শুরু পায় তারা।
কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিস লিন ও সূর্যকুমার যাদব মিলে ৭০ রানের জুটি গড়লে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল মুম্বাই। এই দুজনকে ওয়াশিংটন সুন্দর ও কাইল জেমিসন ফেরানোর পর বাকিটা হার্শাল প্যাটেলের গল্প।
আইপিএলের ১৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট তুলে নেন হার্শাল। তার বোলিং তোপে শেষ চার ওভারে মাত্র ২৪ রান নিতে পারে মুম্বাই, তারা থামে ১৫৯ রানে।
১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক কোহলি ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল ব্যাঙ্গালোর।
কিন্তু ১৫ বলের ব্যবধানে তাদের দুজনকে সহ তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে বিপদের আভাস পাচ্ছিল তারা। বিপদ অবশ্য হতে দেননি ডি ভিলিয়ার্স।
আউট হওয়ার আগে চার চার ও দুই ছয়ে খেলেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস, তাতে ব্যাঙ্গালোর চলে যায় জয়ের দ্বারপ্রান্তে।
আর শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন হার্শাল, ম্যাচসেরাও নির্বাচিত হন তিনি।