সেঞ্চুরিয়নে স্বাগতিক সাউথ আফ্রিকাকে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২৮ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রোটিয়াদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতল ৯২ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এর আগে ২০১৩ সালে সাউথ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জেতে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফখর জামানের সেঞ্চুরির সঙ্গে অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম-উল-হকের ফিফটিতে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। জবাবে সাউথ আফ্রিকার হয়ে ইয়ানেমান মালান, কাইল ভেরেইন ও আন্দিলে ফেলুকায়ো ফিফটি তুলে নিলেও ২৯২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২৮ রানে ম্যাচ হারে প্রোটিয়ারা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইমাম ও ফখর মিলে পাকিস্তানকে এনে দিয়েছিলেন ১১২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৫৭ রানে ইমাম ফিরলেও অধিনায়ক বাবরের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ফখর।
৯৯ বলে সিরিজে নিজের টানা দ্বিতীয় শতক তুলে নেন ফখর। তবে কেশভ মহারাজের বলে ফখর ১০১ রানে ফেরার পর পরের ১১ ওভারে আরও চার উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের আশা মিইয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানের, অধিনায়ক বাবর ফেরেন ৯৪ রানে।
তবে শেষ দিকে হাসান আলির ১১ বলে ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৩২০ রানের সংগ্রহে পৌছায় পাকিস্তান।
জবাবে ইয়ানেমান মালানের ব্যাটে সাউথ আফ্রিকা ভালো শুরু পেলেও অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। ইয়ানেমান ৭০ রানে ফিরলে জয়ের আশা প্রায় মরতে বসেছিল স্বাগতিকদের।
সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেন ভেরেইন ও ফেলুকায়ো। দুজনের ১০৮ রানের জুটিতে আবারও জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে প্রোটিয়ারা।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর তা হয়নি। ভেরেইন ফেরেন ৬২ রানে, ফেলুকায়ো ৫৪; আর সেখানেই স্বপ্ন মাটি সাউথ আফ্রিকার।
শেষ পর্যন্ত তিন বল বাকি থাকতে ২৯২ রানে অল আউট হয় তারা। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট পান শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন বাবর। দুই শতকের জন্য সিরিজ সেরার পুরষ্কার জেতেন ফখর।