বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জঘন্য ব্যাটিংয়ে ভরাডুবি বাংলাদেশের

  •    
  • ১ এপ্রিল, ২০২১ ১৬:৩৯

বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৬ রানে। তাও ৯.৩ ওভারে। অর্থাৎ ১০ উইকেট নিয়ে ১০ ওভারও টিকতে পারেনি বাংলাদেশ।

অকল্যান্ডে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বেশ নতুন কিছু বিষয় ছিল বাংলাদেশের জন্য। ১৫ বছর পর পঞ্চপাণ্ডবকে ছাড়া মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় লিটন দাসের।

অথচ বৃষ্টিভেজা ম্যাচ বাংলাদেশ শেষ করল হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ নিয়ে। শুধু ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হার নয়, এটিই কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের জঘন্যতম হার কি না, সেটি নিয়েও হতে পারে আলোচনা।

বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নেমে এসেছিল ১০ ওভারে। সেই ১০ ওভারে ধংসযজ্ঞ চালিয়ে নিউজিল্যান্ড তোলে ১৪১ রান।

জবাবে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৬ রানে। তাও ৯.৩ ওভারে। অর্থাৎ ১০ উইকেট নিয়ে ১০ ওভারও টিকতে পারেনি বাংলাদেশ।

তাতে নিউজিল্যান্ডের জয় হয় ৬৫ রানের। সব মিলিয়ে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল ব্ল্যাকক্যাপসরা।

১৪২ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। এরপর ওভার দুয়েকের সামান্য বিরতি। তারপর অকল্যান্ডে দিনের শুরুতে বৃষ্টির কথা মনে করিয়ে দেওয়া উইকেট-বর্ষণ।

নাইম শেখ, সৌম্য ও মোসাদ্দেক হোসেন বাদে আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাতে পারেননি। একটি বাউন্ডারি, এরপর আবার ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ার চক্রেই আটকে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। বাজে শটের সঙ্গে পরিস্থিতি বুঝতে না পারা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ ছিলেন সব ক্ষেত্রে।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে চার উইকেট পান লেগ স্পিনার টড অ্যাস্টল। তিনটি উইকেট পান সাউদি। একটি করে উইকেট পান গ্লেন ফিলিপস, লকি ফার্গুসন ও অ্যাডাম মিলনে।

এর আগে ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালান দুই ব্ল্যাকক্যাপস ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেন। তিন ওভারের পাওয়ারপ্লেতে তারা তুলেছিলেন ৪৩।

ষষ্ঠ ওভারে মেহেদি হাসানের বলে গাপটিল ফেরেন ১৯ বলে ৪৪ করে। কিন্তু যতক্ষণে সেই ওভার শেষ, নিউজিল্যান্ডের রান তখন ৯০।

পরের ওভারেই অবশ্য মাত্র ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন অ্যালেন। অথচ তিনি ফিরতে পারতেন ১৯ ও ২৯ রানে। কিন্তু শরিফুল ইসলামের এক ওভারে দুবার তার ক্যাচ ফেলেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। প্রথমে রুবেল হোসেন, পরে সৌম্য সরকার।

৫০ রানে অ্যালেনের ক্যাচ আবার ছাড়েন সৌম্য। রুবেলের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন অ্যালেন। লং অফ থেকে দৌড়ে এসে বল পর্যন্ত সৌম্য পৌঁছেছিলেন ঠিকই; ক্যাচ ধরতে পারেননি।

গ্লেন ফিলিপস নেমে রানবন্যা চালিয়ে নেওয়ায় সাহায্য করছিলেন অ্যালেনকে। তিনি অবশ্য ফেরেন নবম ওভারে। শরিফুলের বলে সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ৬ বলে ১৪ করে।

অ্যালেনকে আবার ফেরাতে পারতেন শরিফুল। কিন্তু এবার নিজেই ক্যাচ ধরতে পারেননি তিনি।

সেই জীবন পাওয়ার পর অ্যালেন অবশ্য আউট হন শেষ ওভারে। তাসকিন আহমেদের বলে স্কুপ করতে গেলে শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা বদলি ফিল্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ ক্যাচে ফেরেন তিনি। তবে ফেরার আগে করেন ২৯ বলে ৭১। সেখানে চার ১০টি; ছয় তিনটি।

শেষ পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করতে পারে ১৪১ রান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মেহেদি, শরিফুল ও তাসকিন। অন্যটি রান আউট।

এ বিভাগের আরো খবর