অকল্যান্ডে বৃষ্টির হানায় ম্যাচ কমে এসেছিল দশ ওভারে। তাতে অধিনায়ক হিসেবে নিজের অভিষেকটা ভালোই হয়েছিল লিটন দাসের। জিতেছিলেন টসে।
কিন্তু ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বাকিটা সময় মোটেও ভালো যায়নি তার কিংবা বাংলাদেশের।
দশ ওভারের ম্যাচে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ১৪১। সিরিজ হারার পর শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিতে বাংলাদেশকে তাই তুলতে হবে ১৪২।
ব্যাটিংয়ের শুরু থেকেই বাংলাদেশ বোলারদের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালান দুই ব্ল্যাকক্যাপস ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেন। তিন ওভারের পাওয়ারপ্লেতে তারা তুলেছিল ৪৩।
ষষ্ঠ ওভারে মেহেদি হাসানের বলে গাপটিল ফেরেন ১৯ বলে ৪৪ করে। কিন্তু যতক্ষণে সেই ওভার শেষ, নিউজিল্যান্ডের রান ৯০!
পরের ওভারেই অবশ্য মাত্র ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন অ্যালেন। অথচ তিনি ফিরতে পারতেন ১৯ ও ২৯ রানে। কিন্তু শরিফুল ইসলামের এক ওভারে দুবার তার ক্যাচ ফেলেন বাংলাদেশি ফিল্ডাররা, প্রথমে রুবেল হোসেন, এরপর সৌম্য সরকার।
৫০ রানে অ্যালেনের ক্যাচ আবার ছাড়েন সৌম্য। রুবেলের বলে ক্যাচ তুলেছিলেন অ্যালেন, লং অফ থেকে দৌড়ে এসে বল পর্যন্ত সৌম্য পৌঁছেছিলেন ঠিকই, ক্যাচ ধরতে পারেননি।
গ্লেন ফিলিপস নেমে রানবন্যা চালিয়ে নেওয়ায় সাহায্য করছিলেন অ্যালেনকে। তিনি অবশ্য ফেরেন নবম ওভারে, শরিফুলের বলে সৌম্যকে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ৬ বলে ১৪ করে।
অ্যালেনকে আবার ফেরাতে পারতেন শরিফুল। কিন্তু এবার নিজেই ক্যাচ ধরতে পারেননি তিনি।
সেই জীবন পাওয়ার পর অ্যালেন অবশ্য আউট হন শেষ ওভারে। তাসকিন আহমেদের বলে স্কুপ করতে গেলে শর্ট থার্ড ম্যানে থাকা বদলি ফিল্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ ক্যাচে ফেরেন তিনি। তবে ফেরার আগে করেন ২৯ বলে ৭১, সেখানে চার দশটি, ছয় তিনটি।
শেষ পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করতে পারে ১৪১। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মেহেদি, শরিফুল ও তাসকিন, অন্যটি রান আউট।