নেপিয়ারে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মঞ্চায়ন হয়েছে অদ্ভুত এক নাটকের।
বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ১৩ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৬ ওভার। সেই ১৬ ওভারে প্রথমে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৪৮।
এরপর দেড় ওভার পার হওয়ার পর খেলা বন্ধ করে জানানো হয়, বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৭০! ম্যাচ শেষ হতে হতে সেই লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় ১৭১ রানে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সঙ্গে এই বিষয়ে নিউজবাংলা যোগাযোগ করলে তারা জানায়, মাঠে একটি পরিচালনাগত সমস্যা হওয়ায় দুই দলকে ডিএলএস স্কোর জানানো যায়নি। যদিও ম্যাচের শুরুতে আম্পায়ারদের বাংলাদেশের লক্ষ্য কত, তা জানানো হয়েছিল। দুই দলই ডিএলএস স্কোরের তালিকা চাইলে বন্ধ রাখা হয় খেলা। দুই দলকে সেই তালিকা দেওয়ার পর আবার শুরু হয় ম্যাচ।
এছাড়াও ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশ দলের অভিযোগ আছে আরও। প্রথম বার বৃষ্টি-বিরতির পর বৃষ্টি চলাকালীন সময়েই তাদের মাঠে নামতে হয়েছে বলে জানান দলের অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো তার হতাশা প্রকাশ করেন ম্যাচের বিভিন্ন বিষয়ে। বলেন, মনে হয়েছে, কোনো কিছুই বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না।
‘আমি কখনও কোনো দলকে এত লম্বা সময় বৃষ্টির মধ্যে ফিল্ডিং করতে দেখিনি। বৃষ্টি হচ্ছিল, বল ভেজা এবং পিচ্ছিল ছিল। কোনো অজুহাত দিচ্ছি না, কিন্তু মনে হচ্ছিল কন্ডিশনের বিচারে কিছুই পক্ষে ছিল না আমাদের। খুবই হতাশাজনক একটি রাত’, বলেন ডমিঙ্গো।
লক্ষ্য নিয়ে হওয়া বেগড়বাই নিয়েও ক্ষোভ ঝাড়েন এই সাউথ আফ্রিকান। তিনি বলেন, ‘দেখুন আমি আগে কখনও এমন ম্যাচ দেখিনি যেখানে ম্যাচ শুরু হয়ে গিয়েছে কিন্তু আমরা আমাদের ডিএলএস লক্ষ্য জানতাম না। কেউ জানতো না পাঁচ ওভার পর আমাদের কত করতে হবে। আমার মতে, লক্ষ্য না জানানোর আগে খেলা শুরু করাই উচিত হয়নি। আমার মনে হয় না আজকে বিষয়টি খুব ভালো ছিল।’
সিরিজ হারের পর নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে অকল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সেখানে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।