বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফিলিপস-মিচেল ঝড়ের পর আবারও বৃষ্টির হানা নেপিয়ারে

  •    
  • ৩০ মার্চ, ২০২১ ১৩:০৪

দ্বিতীয় বার বৃষ্টি নামার আগে ১৭.৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড পাঁচ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৭৩। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদি, একটি করে তাসকিন, সাইফুদ্দিন ও শরিফুল।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছিল, নেপিয়ারে হতে পারে বৃষ্টি। কন্ডিশন দেখে তাই টসে জিতে বোলিং নিতে ভুল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

সেই বৃষ্টি ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল। তবে খেলা বন্ধের মতো নয়। বৃষ্টি বাড়ল ১৩ নম্বর ওভারে। তাতে খেলা বন্ধ করে মাঠ ছাড়তে হলো দুই দলকে।

প্রথম বার বৃষ্টি যখন নামে, ১০২ রানে নিউজিল্যান্ডের চার উইকেট তুলে নিয়ে বেশ ভালো অবস্থানেই ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই বৃষ্টি বিরতির পর আর মাত্র এক উইকেট নিতে পারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় বার বৃষ্টি নামার আগে খেলা হয় ৩৩ বল। সেই ৩৩ বলে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৭১ রান!

গ্লেন ফিলিপসের ফিফটি ও ড্যারিল মিচেলের ঝড়ে ১৭.৫ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ১৭৩।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল নিউজিল্যান্ড। তিন ওভারে ২০ রান নেওয়ার পর তাসকিন আহমেদের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ফিন অ্যালেন মেরেছিলেন ছয়।

পরের বলেই অবশ্য তুলে দিয়েছিলেন ক্যাচ। কিন্তু সেই ক্যাচ ধরতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। অবশ্য সেটির জন্য আফসোস করতে হয়নি তাকে। সেই ওভারের শেষ বলে আবারও ক্যাচ তুলে দেন অ্যালেন। সেই ক্যাচ নিতে ভুল করেননি নাইম শেখ।

অন্য প্রান্তে অবশ্য ছিলেন গাপটিল। তার সঙ্গে ছিলেন আগের ম্যাচে অপরাজিত ৯২ রান করা ডেভন কনওয়ে।

পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই তারা নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে যান ৫০ রানের ঘরে। তবে এরপর আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।

অবশ্য সেই উইকেট সাইফুদ্দিনের চেয়ে তাসকিনের বেশি। গাপটিল চেয়েছিলেন ফ্লিক করতে, ঠিক ব্যাটে বলে হয়নি; বাতাসে ভেসে যাচ্ছিল শর্ট ফাইন লেগ এলাকা দিয়ে। শূন্যে লাফিয়ে পড়ে বাম হাতে সেই ক্যাচ নিয়ে নেন তাসকিন; গাপটিলকে ফেরান ২১ রানে।

পরের ওভারে প্রথম বলেই নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। আগের ম্যাচে অভিষেকে চার ওভারে রান দিয়েছিলেন ৫০।

দ্বিতীয় ম্যাচে তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে পুল করতে চেয়েছিলেন কনওয়ে। কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে কনওয়ে ধরা পড়েন মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে।

এরপর ছোট একটি জুটি গড়েছিলেন উইল ইয়াং ও গ্লেন ফিলিপস। তাদের ৩৯ রানের জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান। তাকে এগিয়ে এসে ছয় মারতে গিয়ে বল মিস করেন ইয়াং, স্ট্যাম্পিং করতে ভুল করেননি উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাস।

বৃষ্টি থামার পরের ওভারেই মেহেদিকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মার্ক চ্যাপম্যান। কিন্তু সেখান থেকেই শুরু হয় ফিলিপস ও মিচেলের ঝড়।

মাত্র ২৫ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন তারা। ফিলিপস নিজের ফিফটি তুলে নেন ২৭ বলে। দ্বিতীয় বার বৃষ্টি হানা দেওয়ার সময় তিনি অপরাজিত ছিলেন ৫৮ রানে। অন্যপ্রান্তে মিচেল ছিলেন আরও বিধ্বংসী। মাত্র ১৬ বলে করেছেন ৩৪।

এ বিভাগের আরো খবর