নেপিয়ারে আবহাওয়া দেখে টসে জিতে বোলিং নিতে ভুল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
তার সেই সিদ্ধান্তের প্রতিদানও দিয়েছেন বোলাররা। প্রথম ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডকে তারা রান নিতে দিয়েছেন ৮১; উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনটি।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল নিউজিল্যান্ড। তিন ওভারে ২০ রান নেওয়ার পর তাসকিন আহমেদের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ফিন অ্যালেন মেরেছিলেন ছয়।
পরের বলেই অবশ্য তুলে দিয়েছিলেন ক্যাচ। কিন্তু সেই ক্যাচ ধরতে পারেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। অবশ্য সেটির জন্য আফসোস করতে হয়নি তাকে। সেই ওভারের শেষ বলে আবারও ক্যাচ তুলে দেন অ্যালেন। সেই ক্যাচ নিতে ভুল করেননি নাইম শেখ।
অন্য প্রান্তে অবশ্য ছিলেন গাপটিল। তার সঙ্গে ছিলেন আগের ম্যাচে অপরাজিত ৯২ রান করা ডেভন কনওয়ে। পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগেই তারা নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে যান ৫০ রানের ঘরে। এরপরই আঘাত হানেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
অবশ্য সেই উইকেট সাইফুদ্দিনের চেয়ে তাসকিনের বেশি। গাপটিল চেয়েছিলেন ফ্লিক করতে, ঠিক ব্যাটে-বলে হয়নি; বাতাসে ভেসে যাচ্ছিল শর্ট ফাইন লেগ এলাকা দিয়ে। শূন্যে লাফিয়ে পড়ে বাম হাতে সেই ক্যাচ নিয়ে নেন তাসকিন; গাপটিলকে ফেরান ২১ রানে।
পরের ওভারে প্রথম বলেই নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন শরিফুল ইসলাম। আগের ম্যাচে অভিষেকে চার ওভারে রান দিয়েছিলেন ৫০।
দ্বিতীয় ম্যাচে তার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে পুল করতে চেয়েছিলেন কনওয়ে। কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে কনওয়ে ধরা পড়েন মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে।
তিন উইকেট হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের হয়ে উইকেটে আছেন উইল ইয়াং ও গ্লেন ফিলিপস।