বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের বিপক্ষে ৩০ ওভারের মধ্যে ইংল্যান্ডের নেই সাত উইকেট। সংগ্রহ ২০০ রান। বাঘা বাঘা সব ব্যাটসম্যান ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। যেতে হবে বহুদূর। প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেলেছিলেন সফরকারীদের স্যাম কারান। ৯৫ রানের অনবদ্য ইনিংসে জয়ের খুব কাছে গিয়ে তরি ডোবার কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
লেখা হয় ইংল্যান্ডের সাত রানের হার। সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ভারত।
ওয়ানডের ইতিহাসে আটে ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে নোঙর করতে করতে যেন হাত ফসকে যায় জয়। তাই স্বাগতিকদের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েও চাপা কষ্ট নিয়ে ক্রিজে অশ্রু ফেলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় এই ইংলিশ বোলিং অলরাউন্ডারকে।
ম্যাচটা অবশ্য ভারতেরই দখলে ছিল। পুনেতে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। শেখর ধাওয়ানের ৬৭, রিসাব পান্তের ৭৮ ও হার্ডিক পান্ডিয়ার ৬৪ রানের সুবাদে ৩২৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ভারত।
মার্ক উডের তিন উইকেট, আদিল রশিদের দুই, স্যাম কারান, টপলে, স্টোকস, মঈন ও লিভিংস্টোনের একটি করে উইকেটের বদান্যতায় ১০ বল বাকি থাকতেই অলআউট ভারত।
তাড়া করতে নেমে এক শ রানের ভেতরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জেসন রয়, জনি বেরিস্টো, বেন স্টোকস ও জস বাটলার। ড্যাভিড মালানের হাফ সেঞ্চুরি কিছুটা পথ দেখালেও ৩০ ওভারে মালানসহ আরও চার উইকেট খুইয়ে বসে ইংল্যান্ড। ব্যস, ভারতের সবচেয়ে বড় কাঁটাগুলো উধাও।
এখান থেকেই মূলত স্যাম কারানের অনবদ্য রেকর্ডময় ইনিংসের উত্থান। একাই বুক চেতিয়ে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস দিয়ে ইংল্যান্ডের ভাটাকে জোয়ারে পরিণত করেন কারান। ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত একাই কাঁধে চেপে দলকে টেনে নিয়ে যান এই অলরাউন্ডার।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৪ রানের। ১৩ করলে ড্র। সুপারওভারে সিরিজের সিদ্ধান্ত। দারুণ একটা সুযোগ। নটরাজনের হাতে বল। কিছুটা ভাগ্য ও দারুণ বোলিংয়ে নটরাজন এক ওভারে দিলেন মাত্র ৬। শেষ ৪ বলে ১২ যেখানে দরকার ছিল, কারান তুলতে পারলেন মাত্র ৪ রান।
নাটকীয়ভাবে ওয়ানডেটাই জিতে নেয় ভারত। সঙ্গে সিরিজ-জয়ের উৎসব। ইংল্যান্ডদের পতনের পেছনে বাহবা দিতে হবে দুই ফাস্ট বোলার ভুবেনেশ্বর ও শার্দুল ঠাকুরকে। বল হাতে ইংল্যান্ডের রাজ্য পতনে ভুবেনেশ্বর নিয়েছেন তিন আর শার্দুল নিয়েছেন চার উইকেট।
শেষ ১৫ বছরে ভারতের মাটিতে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজের রেকর্ড বলছে, কোনো সিরিজ হারেনি স্বাগতিকরা। ২০০৬ সাল থেকে ছয়টি সিরিজ হয়েছে। সবগুলো সিরিজই হেরেছে ইংল্যান্ড।