অভিষেকটা এর চেয়ে ভালোভাবে শুরু হবে, সেটি নিশ্চয়ই ভাবেননি নাসুম আহমেদ। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে নেমে প্রথম ওভারে রান দিলেন মাত্র এক, সঙ্গে তুলে নিলেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হওয়া ফিন অ্যালেনের উইকেট।
পরে তুলে নিয়েছিলেন মার্টিন গাপটিলের উইকেটও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুমের অভিষেকটা ভালো হলেও খুব সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ।
ডেভন কনওয়ের ৫২ বলে ৯২ ও উইল ইয়াংয়ের ৩০ বলে ৫৩ রানের ইনিংস, সঙ্গে টড ফিলিপসের ১০ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ভর করে নিউজিল্যান্ড তুলেছে তিন উইকেটে ২১০। বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য তাই ২১১।
টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামার পর প্রথম ওভারেই নাসুম উইকেট নিয়ে দারুণ সুযোগ এনে দেন বাংলাদেশকে। গাপটিল তার ২৭ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে প্রতি-আক্রমণও করেছিল নিউজিল্যান্ড। সপ্তম ওভারে নাসুম তাকেও ফেরানোর পর অবশ্য বাকিটা ইনিংস ডেভন কনওয়ের।
প্রথমে ইয়াংয়ের সঙ্গে গড়েন ৬০ বলে ১০৫ রানের জুটি। কনওয়ে অবশ্য ফিফটি ছোঁয়ার আগেই ফিরতে পারতেন। নাসুমের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু স্কোয়ার লেগে সেই ক্যাচ ধরতে গিয়ে বাউন্ডারিতে পা ছুঁইয়ে ফেলেন শরিফুল ইসলাম, যার আন্তর্জাতিক অভিষেকও এই ম্যাচে।
নাসুমের ঠিক উল্টো অভিষেক হয়েছে শরিফুলের। নাসুম যেখানে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার, শরিফুল সেখানে তার চার ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান, পাননি কোনো উইকেট।
সঙ্গে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন কনওয়েকে। সেই জীবন পেয়ে আর কোনো ভুল করেননি। দুই চার ও চার ছয়ে ৩০ বলে ৫৩ করে মেহেদির বলে আফিফ হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে ইয়াং ফেরত গেলেও, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কনওয়ে।
শেষ পর্যন্ত যখন ফিরছেন, ৫২ বলে করেছেন ৯২। তাতে চার ১১টি, ছয় তিনটি। সঙ্গে শেষ দিকে দারুণ এক ক্যামিও খেলেন ফিলিপস, করেন ১০ বলে ২৪। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি ৫২ রান তোলে মাত্র ১৯ বলে।
শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান দেন ২০ রান। সব মিলিয়ে নিজেদের ইনিংস শেষ ২১০ রান তোলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের তিন পেইসারই ছিলেন খরুচে। শরিফুল রান দিয়েছেন ৫০, মুস্তাফিজ ৪৮ ও সাইফ ৪৩। নাসুম ৩০ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট, এক উইকেট নিতে মেহেদি দিয়েছেন ৩৭ রান।