বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কনওয়ে-মিচেলের জোড়া শতকে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৩১৯

  •    
  • ২৬ মার্চ, ২০২১ ০৭:৫৫

৩১৯ রান তাড়া করতে পারলে সেটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

সকালের সূর্য দিনের আভাস দেয়, এ কথা শুনলে নিশ্চিতভাবেই রেগে যাবে বাংলাদেশ দল। নইলে এত দারুণ শুরুর পরও এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হবে কেনো?

টসে জিতে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ব্যাটিংয়ের। মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস এনে দিয়েছিলেন ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটিও। চার রান আগেই শেষ হতে পারতো, যদি না তাসকিন আহমেদের বলে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ না ফেলতেন।

তবে তাসকিন নিকোলসকে ফেরান এক বল পরেই। পরের ওভারে রুবেল হোসেনের শিকার হয়ে ফিরে যান গাপটিল। রুবেলের পরের ওভারে রস টেইলরের ক্যাচ ফেলে দেন মুস্তাফিজুর রহমান, কিন্তু এক বল পরেই তিনিও ফিরে যান মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে।

সব মিলিয়ে যতক্ষণে ১১ ওভার শেষ, ৫৭ রান তুলতে নিউজিল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছে তিন উইকেট। সেখান থেকে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল, দ্রুত গুটিয়ে দেওয়া স্বাগতিকদের।

অথচ বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য ৩১৯! ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেল দুজনই তুলে নেন নিজেদের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, তাতে করেই এই বিরাট সংগ্রহ ব্ল্যাকক্যাপসদের।

৩১৯ রান তাড়া করতে পারলে সেটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২২ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১৯ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেয়েছিলেন কনওয়ে। তবে সেটিকে তিন অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি। পারলেন ওয়েলিংটনে।

অল্প সময়ের ব্যবধানে তিন উইকেট হারানোর পর কনওয়ে প্রথমে অধিনায়ক ল্যাথামের সঙ্গে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। ম্যাচে সৌম্য সরকারের করা প্রথম বলেই পয়েন্টে মেহেদি হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচ হয়ে ল্যাথাম ফেরার পর শুরু হয় কনওয়ে-মিচেল ম্যারাথন।

দুজনে মিলে গড়েন ১৫৯ রানের বিরাট জুটি, যা বেসিন রিজার্ভ স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ জুটি।

নিজের শতক তুলে নিতে কনওয়ে খরচ করেন ৯৫ বল। এরপর যখন মুস্তাফিজের বলে আউট হয়ে ফিরছেন, ততক্ষণে নামের পাশে ১১০ বলে ১২৬ রানের ঝলমলে ইনিংসে।

তবে মিচেলের জন্য কাজটি ছিল বেশ কঠিন। ফিরতে পারতেন ৬৩ রানেই। তাসকিনের করা ৪৫তম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সেই ক্যাচ ফেলে দিলে আর পেছনে তাকাননি তিনি।

তবুও মুস্তাফিজ যখন শেষ ওভার করতে এসেছেন, মিচেলের রান তখন ৮৬ বলে ৮৩। প্রথম তিন বলেই তিন চার, তার ওপর তিন নম্বরটি আবার নো বলে! পরের বলে কোনোমতে দুই রান নেন, বেঁচে যান রান আউটে। কিন্তু পরের বলেই সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক হারান মিচেল, তখন তার রান ৯৮।

পরের বলে মিচেল স্যান্টনার তিন রান নিলে শেষ বলে স্ট্রাইক পান মিচেল। যেখানে বলটা মেরেছিলেন, তাতে দুই রান নেওয়া সম্ভব ছিল না। মোহাম্মদ মিঠুনের থ্রো ঠিক নিখুঁত না হলেও, খারাপ ছিল না। কিন্তু সেই বল ধরতেই পারলেন না মুশফিক, সেই সুযোগে ঠিকই নিজের সেঞ্চুরি নিশ্চিত করেন মিচেল।

তাতে করে শেষ ওভারে মুস্তাফিজ রান ২১, নিজের দশ ওভারে এক উইকেট তুলে নিয়ে রান দিয়েছেন ৮৭। রুবেল হোসেন তিন উইকেট পেয়েছেন, তবে রান দিয়েছেন ৭০। বাংলাদেশের সেরা বোলার ছিলেন তাসকিন আহমেদ, নিজের দশ ওভারে ৫২ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন এক উইকেট। অন্য উইকেটটি সৌম্য সরকারের।

এ বিভাগের আরো খবর