ওয়েলিংটনে তৃতীয় ওয়ানডেতে শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। ১১ ওভারের মধ্যেই তুলে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের তিন উইকেট।
কিন্তু সিরিজে ডেভন কনওয়ের টানা দ্বিতীয় ফিফটিতে বড় সংগ্রহের আশা দেখছে তারা। ৩৫ ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তুলেছে তারা। ৬৪ রানে অপরাজিত আছেন কনওয়ে, সঙ্গে ড্যারিল মিচেল অপরাজিত আছেন ২৬ রানে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। সাত ওভার পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত সঠিকই মনে হচ্ছিল।
দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস মিলে তুলে ফেলেছিলেন ৪০। এমনকি, তাসকিন আহমেদের করা অষ্টম ওভারে নিকোলসের ক্যাচ ফেলে যেন মুশফিকুর রহিম প্রমাণ করতে চাইলেন, দিনটা নিউজিল্যান্ডেরই।
কিন্তু সেই ক্যাচ পড়ার পর নিকোলসকে ফেরাতে তাসকিন সময় নেন মাত্র দুই বল। দারুণ এক ডেলিভারিতে দ্বিতীয় স্লিপে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নিকোলসকে।
পরের ওভারেই আরেকটি ক্যাচ নেন লিটন। রুবেল হোসেনের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে টাইমিংটা ঠিকমত হয়নি গাপটিলের, মিড অনে সহজ ক্যাচ নিয়ে ২৬ রানে এই ব্ল্যাকক্যাপস ব্যাটসম্যান।
এগারোতম ওভারে রস টেইলর আউট হতে পারতেন চতুর্থ বলেই। কিন্তু রুবেলের বলে মিড অনে ক্যাচ ফেলেন মুস্তাফিজুর রহমান। পরের বলে টেইলর চার হাঁকালেও রুবেল বদলা নেন সঙ্গে সঙ্গেই।
পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন টেইলরকে। এবার অবশ্য আর ভুল করেননি মুশফিক। ক্যাচ ধরে টেইলরকে ফেরান ৭ রানে।
ল্যাথাম ও কনওয়ে মিলে এরপর জুটি গড়েন ৬৩ রানের। সেই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার।
সৌম্যর করা প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন ল্যাথাম, বাকিটা করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। বাঁ দিকে ঝাপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ককে ফেরান ১৮ রানে।
তবে ল্যাথাম ফিরে গেলেও থেমে থাকেননি কনওয়ে। মিচেলকে নিয়ে আবারও জুটি গড়েছেন, নিজের ফিফটি তুলে নেন ৫২ বলে।
৩৫তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে অবশ্য কনওয়ের বিপক্ষে জোরালো আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিউও নিয়েছিলেন তামিম।
তাতে লাভ হয়নি। রিপ্লেতে দেখা যায়, ব্যাট লেগেছে প্যাডে, বলে নয়। তাতে বেঁচে যান কনওয়ে।
তার সঙ্গে মিচেলের জুটি ৩৫তম ওভারের শেষে তুলেছে ৫২। দল তাতে পৌঁছেছে ১৭২ রানে।