বঙ্গবন্ধু জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) তৃতীয় দিনটি ছিল নাসির হোসেনের। আগের দিন ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিনে তুলে নেন সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর বলহাতেও নৈপুণ্য দেখান; তুলে নেন চারটি উইকেট।
বিকেএসপিতে সাইফ হাসানের শতকে প্রথম ইনিংসে ঢাকা তুলেছিল ৩৬৫। জবাবে নাসির হোসেন সেঞ্চুরি পেলেও বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর চার উইকেটে ২৩০ রানেই গুটিয়ে যায় রংপুর।
কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নাসিরের চার উইকেটের সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী শুভর তিন উইকেটে মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। ফলে জয়ের জন্য রংপুরের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৪।
তৃতীয় দিন শেষে ৩৫ রান তুলতে দুই উইকেট হারিয়েছে দলটি। উইকেটে আছেন মাহমুদুল হাসান ও শুভ।
এছাড়া এনসিএলে বরিশালের বিপক্ষে জয়ের পথেই আছে ঢাকা মেট্রো। বাকি দুই ম্যাচে এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম ও খুলনা।
বরিশালে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ২৪১ রানে। জবাবে মার্শাল আইয়ুব ও শহিদুল ইসলামের শতকে ৪১৩ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ঢাকা মেট্রো।
জবাবে তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৭ রান তুলতেই সাত উইকেট হারিয়েছে বরিশাল। দিন শেষ করেছে পাঁচ রানের লিড নিয়ে। সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস আসে ওপেনার মইনুল ইসলামের ব্যাট থেকে। দিন শেষে অপরাজিত আছেন মনির হোসেন ও কামরুল ইসলাম রাব্বি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা মেট্রোর হয়ে দুটি করে উইকেট শিকার করেন শহিদুল ও আবু হায়দার রনি।
খুলনায় সিলেটের বিপক্ষেও বেশ শক্ত অবস্থানে আছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে তুষার ইমরানের ৯৯ ও ইমরুল কায়েসের ৯০ রানে ভর করে ৩৭৫ রান তলে খুলনা।
জবাবে মাসুম খান টুটুল ও মিনহাজ রহমানের বোলিং তোপে মাত্র ১৩৪ রানে গুটিয়ে ফলো-অনে পড়তে হয় সিলেটকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য মন্দ করেনি তারা।
জাকির হাসানের অপরাজিত ১১৮ রানের সুবাদে তৃতীয় দিন শেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ২৫০ রান তুলেছে তারা, এগিয়ে আছে ৯ রানে।
রাজশাহীতে চট্টগ্রামের বিপক্ষে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ১৩৬ রান।
প্রথম ইনিংসে শাহাদাত হোসেন দীপুর সেঞ্চুরিতে ২৮৭ তুলেছিল চট্টগ্রাম। জবাবে নোমান চৌধুরীর চার ও মেহেদি হাসানের তিন উইকেটে মাত্র ১৫২ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল রাজশাহী।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ব্যাটিং ধসে পড়ে চট্টগ্রামের। ফরহাদ রেজা, তাইজুল ইসলাম ও তৌহিদ হৃদয় তিনটি করে উইকেট শিকার করলে ১৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় বন্দর নগরীর দলটি।
২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তুলেছে রাজশাহী। জুনায়েদ সিদ্দিকী অপরাজিত আছেন ৫১ রানে, তাকে ক্রিজে সঙ্গ দিচ্ছেন ফরহাদ রেজা।