উপলক্ষটা ছিল বেশ বড়। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুই বছর পর প্রথম ম্যাচ।নিজের ৩২তম জন্মদিন রাঙানোর মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ২০২১ সালের ২০ মার্চ দিনটাকে হয়তো দ্রুত ভুলে যেত চাইবেন টাইগার ওপেনার।ব্যাট হাতে রান পাননি, অধিনায়ক হিসেবে বিদেশের মাটিতে প্রথম ম্যাচে মেনে নিতে হয়েছে বড় পরাজয়। সব মিলিয়ে নিজের বিশেষ দিনটা তিক্ত স্বাদই উপহার দিয়েছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানকে।তার দিনের শুরুটাই হয় হার দিয়ে। টসে হেরে ব্যাট হাতে নামতে হয় ডানেডিনের প্রানবন্ত উইকেটে।ম্যাচ সেরা ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম শিকারও হলেন তামিম। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে বোল্টের ইনসুইঙ্গারের লাইন মিস করলেন। বল তার প্যাডে আঘাত হানার পর খুব ভাবতে হয়নি আম্পায়ারকে।১৫ বল টেকেন তামিম। সেখানেও স্বভাবসুলভ একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি। শুরুটা দারুণ হওয়ার কারণে ম্যাচ শেষে আফসোস থেকেই যাচ্ছে। ওভাবে আউট না হলে কত দূর যেতেন।ম্যাচের শেষে অধিনায়ক বেশ বিরক্তই ছিলেন দলের আট উইকেটের আত্মসমর্পণে। সংবাদ সম্মেলণে জানান, ‘এই ম্যাচ থেকে পজিটিভ কোনো কিছুই নাই নেয়ার।’দীর্ঘ কোয়ারেন্টিন, কন্ডিশনের অনভ্যস্ততা কিংবা বিদেশের মাটিতে দীর্ঘদিন পর সিরিজ কোনো কিছুকেই অজুহাত হিসেবে দেখতে রাজি নন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক।‘আমরা কুইন্সটাউনে কয়েক দিন ছিলাম। আমরা আমাদের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি আসলে সেগুলো নিয়ে অভিযোগ করতে পারি না। এই কন্ডিশন আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়; আমরা প্রায়ই নিউজিল্যান্ডে আসি। এই কন্ডিশন আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়।’প্রথম ওয়ানডেতে ব্যার্থতার পরও বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যানে আঁচ পড়ছে সামান্যই। এখনও আর নামের পাশে বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ ২৩ আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। তিন ফরম্যাটেই আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করা একমাত্র টাইগার ব্যাটসম্যান তিনি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৬.৮৬ গড়ে ৭৩৭৩ রান ও ১৩টি সেঞ্চুরি জ্বলজ্বল করছে তার নামের পাশে। আইসিসিও এই ওপেনারের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশেষ পোস্ট দিয়েছে। মনে করিয়ে দিয়েছে তার রেকর্ড।পরিসংখ্যান বই মিথ্যা বলে না। তেমনটা হলে নিউজিল্যান্ড সিরিজেই আবারও হাসতে দেখা যাবে তামিমের ব্যাটকে। নিজের জন্মদিনের সেটাই হয়তো চাওয়া থাকবে এই বাঁ-হাতির।