ডানেডিনে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ দল। পুরো ম্যাচে বিন্দু পরিমাণ প্রতিযোগিতা করতে পারেনি সফরকারীরা। সব বিভাগেই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদের।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম, মিচেল স্যান্টনারদের বোলিং তোপে মাত্র ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, পরবর্তী সময়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া বোল্ট তুলে নেন চার উইকেট।
জবাবে আট উইকেট ও ১৭২ বল হাতে রেখেই ১৩২ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
এমন হারের পর যারপরনাই হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এতটাই হতাশ, ম্যাচ থেকে ইতিবাচক কিছু খুঁজেই পাচ্ছেন না তিনি! একমাত্র অভিষিক্ত মেহেদি হাসানের বোলিং নিয়েই সামান্য ভালো কথা ফুটল অধিনায়কের মুখে।
ম্যাচের পর এক ভিডিওবার্তায় তামিম বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে এই ম্যাচ থেকে পজিটিভ কোনো কিছুই নাই নেয়ার। যদি আমার বলতেই হয় তাহলে মেহেদি যে ৫-৬ ওভারের স্পেল করেছে, ভালো বল করেছে। এ ছাড়া আমি কোনো কিছু দেখি না যে এখান থেকে নেয়ার আছে।’
তামিমের হতাশা কারণটা খুব গভীর কিছু নয়। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রতিটি ব্যাটসম্যান, ২০ রানের ঘর পার হতে পেরেছেন কেবল মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ। সর্বোচ্চ জুটি ২৭ রানের, যেটি এসেছে অষ্টম উইকেটে!
ব্যাটসম্যানরা ১৩২ রানের ছোট্ট পুঁজি এনে দেয়ার পর বল হাতেও ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ দল। শুরু থেকেই অকৃপণভাবে রান বিলিয়েছেন তারা। তবে ম্যাচের পর তামিম বলেন, ‘বোলারদের হাতে সুযোগটা কমে আসে সেই রান পুঁজি করে দলকে জেতানোর।
‘আমাদের অন্তত ২৬০-২৭০ রান করতে হবে, বোলারদের ডিফেন্ড করার জন্য কিছু রান দিতে হলে। যদি আমরা এভাবে করে ১৩০ কিংবা ২০০ এর মধ্যে অলআউট হয়ে যাই তাহলে সত্যি কথা বোলারদের রান ডিফেন্ড করার কোনো কিছুই থাকবে না।’
এমনকি ফিল্ডিং নিয়ে তামিম যে সামান্য আশার আলো দেখবেন, সেটিরও উপায় ছিল না। ক্যাচ ছোটেনি, কিন্তু বেশ কয়েকবার মিসফিল্ডিংয়ের কারণে রান খেসারত দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
আপাতত তামিমের প্রত্যয় ভুলগুলো শুধরে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর। সেটি করতে হলে পরের ম্যাচে অন্তত ২৬০-২৭০ রান করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে আগামী মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল।