কেইন উইলিয়ামসন, রস টেইলর নেই। অনেকের মতেই, নিউজিল্যান্ডে অধরা জয়টা পাওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো সুযোগ হয় না।
সেই চাপেই বাংলাদেশ দল এমন তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ল কিনা, সেটি নিয়ে প্রশ্ন হতে পারে। নইলে ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডেতে এমনভাবে বিধ্বস্ত হবে কেনো বাংলাদেশ!
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ট্রেন্ট বোল্টের সুইংয়ের সামনে খাবি খেলো বাংলাদেশ। কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে নিজের ভীত গড়তে পারলেন না, সর্বোচ্চ ২৭ রান এলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। তাতে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের পুঁজি দাঁড়াল মাত্র ১৩১।
ব্যাটসম্যানদের রান পরের কথা, ত্রিশোর্ধ্ব কোনো জুটিই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ জুটি ২৭ রানের, সেটিও অস্টম উইকেটে, মাহমুদুল্লাহ ও তাসকিন আহমেদের।
শেষ পর্যন্ত বোল্ট শিকার করেছেন চার উইকেট। শুরুতে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারকে ফেরানোর পর লেজ ছেঁটে দেন হাসান মাহমুদ ও তাসকিনকে বিদায় করে।
সঙ্গে তার মূল সহযোগীর কাজটা করেছিলেন জিমি নিশাম। লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমকে তো ফিরিয়েছেনই, সঙ্গে রান আউট করেছেন মোহাম্মদ মিঠুনকেও।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ যখন গুটিয়ে গেল ১৩১ রানে, তখনও বাকি ৪৯ বল!
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মার্টিন গাপটিলকে যেন পেয়ে বসলো কীসের এক তাড়া! প্রথম ওভারে মুস্তাফিজকে চার ও ছয় মেরে শুরু, প্রথম পাঁচ ওভার ধরেই চলল সেটি। তাতে নিউজিল্যান্ডের রান তরতর করে ৫২ তে পৌঁছল।
গাপটিলকে উইকেটের পেছনে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে তাসকিন যতক্ষণে ফেরান, ততক্ষণে তিনি করে ফেলেছেন ১৯ বলে ৩৮। এই উইকেট থেকে বলাও যায়, এই ম্যাচে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি তাসকিনের বোলিং। বাকি দুই পেইসার যে ছিলেন রীতিমত নির্বিষ।
৪.২ ওভারে ৪৯ রান দিলেও খালি হাতে ফেরেননি হাসান মাহমুদ। অভিষিক্ত ডেভন কনওয়েকে অবশ্য যতক্ষণে এই তরুণ পেইসার ফিরিয়েছেন, জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে নিউজিল্যান্ড।
এই ম্যাচে আক্ষেপও আছে নিউজিল্যান্ডের। ওপেনার হেনরি নিকোলস যে অপরাজিত ছিলেন ৪৯ রানে! হাসান মাহমুদের করা ২২তম ওভারের প্রথম দুই বলেই অভিষিক্ত উইল ইয়াং দুই চার মেরে দিলে অন্য প্রান্তে ৪৯ রানেই আটকে যান নিকোলস।
তবে তাতে আপাতত সামান্যই আফসোস থাকবে নিউজিল্যান্ডের। আট উইকেটের বিশাল জয়ে সিরিজে যে তারা এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে!
চার উইকেটের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন বোল্ট, সে কথা আলাদা করে না বললেও চলে।
আপাতত দুই দল চলে যাবে ক্রাইস্টচার্চে। মঙ্গলবার সেখানেই হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।