সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও আফগানিস্তানের কাছে পাত্তা পেল না জিম্বাবুয়ে। আফ্রিকানদের ৪৫ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ আগেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে আফগানরা। আফগানিস্তানের দেয়া ১৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ১৪৮ এর বেশি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে।আবু ধাবিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।আফগানদের শুরু দেখে বোঝা যায়নি তারা এত বড় সংগ্রহ দাড় করাবে। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে রহমানুল্লাহ গুরবাজকে ৯ রানে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়েকে দারুণ সূচনা এনে দেন রিচার্ড এনগারাভা।গুরবাজের আউট হওয়ার পরই কাউন্টার অ্যাটাক করেন উসমান ঘানি ও করিম জানাত। দ্বিতীয় উইকেটে মাত্র ৬৪ বলে ১০২ রান করে দারুণ ভিত এনে দেন আফগানদের। ঘানি ৩৪ বলে ৪৯ করে আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন জানাত। তার ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংসে ছিল চারটি ছক্কা ও তিনটি চার।এই দুইজনের বিদায়ের পর আফগানিস্তানকে দুই শর কাছাকাছি নিয়ে যান মোহাম্মদ নাবি। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান রীতিমত ঝড় তোলেন ব্যাট হাতে। ১৫ বলে চার ছক্কায় ৪০ রান করে আউট হন।জিম্বাবুয়ের পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ৪৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি।
বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই চার উইকেট হারয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে রায়ান বার্লের ব্যাট থেকে।ডনাল্ড তিরিপানো ও রিচমন্ড মুতুম্বামি ক্যামিও খেলে চেষ্টা করেন টার্গেট ছোট করে আনার। কিন্তু খুব একটা লাভ হয়নি। তিরিপানো ২৪ আর মুতুম্বামি ২১ রান করেন।
শেষ সাত বলে চার উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে অলআউট হয় ১৭.১ ওভারে। ১৭ তম ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন রাশিদ খান।নিজের ৫০তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা এই তারকা স্পিনার দলের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন। ৩০ রানে তিন উইকেট নেন এই লেগব্রেক বোলার।সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি শনিবার একই ভেন্যুতে।