ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়েই এক বছরের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসেন সাকিব আল হাসান।
কিন্তু ফিরে আসার পরই বিশ্বকাপে যেই তিন নম্বরে ব্যাটিং করে আট ইনিংসে করেছিলেন ৬০৬ রান, সেটি হারিয়ে ফেলেন তিনি। সাকিবের অনুপস্থিতিতে তিন নম্বরে খেলা নাজমুল হোসেন শান্তকেই তিনে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
২০১৮ সালের শুরু থেকে তিন নম্বরে ২১ ম্যাচে ৬৭.৩৩ গড়ে ১১২৪ রান করেন সাকিব। তাই তার বদলে শান্তকে খেলানোয় সমালোচনাও হয়।
সমালোচনার তীব্রতা বাড়ে শান্ত পুরো ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থ হওয়ায়। তিন ম্যাচে মাত্র ৩৮ রান করতে পারেন শান্ত।
নিউজিল্যান্ডে সাকিব না থাকায় অবশ্য তিন নম্বরে শান্তর প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নেই আপাতত। শনিবার হতে যাওয়া প্রথম ওয়ানডেতে খেলার কথা তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের।
তবে সেই ম্যাচের আগে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কাছে প্রশ্ন ছিল শান্তকে নিয়ে। সাকিবের বদলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শান্ত তিনে, এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম বললেন, শান্তকে নিয়ে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা এক্সপেরিমেন্ট করা হয়নি। বরং শান্তর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখেন তিনি।
‘আমরা বাংলাদেশে বসে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো এক্সপেরিমেন্ট করিনি। শান্ত টিমে আগেও খেলছিল, সাকিব এক-দেড় বছর পর দলে আসাতে টিম ম্যানেজমেন্ট তার সাথে কথা বলে মনে করেছে যে ওরা (সাকিব, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ) যদি ৪-৫-৬ তে খেলে তাহলে ভালো হবে। তবে বলতে পারেন যে শান্তর কাছ থেকে যেমনটা আশা করা হয়েছিল, তেমনটা পাওয়া যায়নি। তবে তিনটা ম্যাচ হয়েছে। আমি নিশ্চিত তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’, বলেন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক।
প্রথম ওয়ানডেতে অবশ্য শঙ্কা আছে বাংলাদেশ অধিনায়কের খেলা নিয়ে। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে অংশ নেননি কুইন্সটাউনে প্রস্তুতি ম্যাচে। তবে তামিম জানান, প্রথম ম্যাচ খেলার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।
‘আমার আসলে দুইটা জায়গা নিয়ে ঝামেলা ছিল। যেটা লাস্ট ছিল সেটা হলো হ্যামস্ট্রিং নিয়ে। তবে এখন সেটা মোটামুটি ভালো আছে। আজকে আমি অনুশীলনও করেছি। কাল আমি সব ধরনের অনুশীলনে থাকব। আমি যেটা বললাম যে, আমি খুবই আশাবাদী যে ফার্স্ট ওয়ানডে থেকেই এভেইলএবেল থাকব’, বলেন তামিম।