নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে রেকর্ডটা খুব ভালো নয় বাংলাদেশ দলের। ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে তাদের মাঠে ১৩টি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি খেলেছে টাইগাররা। সবগুলো ম্যাচেই জুটেছে হার।
এখনও জয়ের খাতা খোলার অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশ দল অবশ্য আত্মবিশ্বাসী, এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে পারবেন তারা। তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বর্তমানে নিউজিল্যান্ডের ডানেডিনে আছে বাংলাদেশ দল।
সেখানেই প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেন, ‘এবার বাংলাদেশের সামনে এমন কিছু করার সুযোগ, যা ইতিহাসে কখনও করতে পারেনি টাইগাররা।’
‘আমাদের সামনে দারুণ একটি সুযোগ রয়েছে যা আগে কোনো বাংলাদেশ দল করতে পারেনি। আমরা সবাই সেটি নিয়ে উদ্দীপ্ত। আমি জানি, সফর করার জন্য নিউজিল্যান্ড একটি কঠিন জায়গা কিন্তু তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এটি দারুণ সুযোগ। তিন বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ আছে এবং নিউজিল্যান্ড বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। আপনি যদি ভারতে বিশ্বকাপে ফেভারিট হতে চান, আপনার অবশ্যই এরকম একটি সিরিজে ভালো করতে হবে’, বলেন এই সাউথ আফ্রিকান কোচ।
বাংলাদেশ দলের হেড কোচও এটি মানছেন, এই মুহূর্তে ওয়ানডেতেই সবচেয়ে শক্তিশালী বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে ফরম্যাটেই আমরা বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী। আপনি যদি বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স দেখেন এবং আপনি যদি খেলোয়াড়দের গড় দেখেন, আমাদের খেলোয়াড়দের ওয়ানডেতে পরিসংখ্যান বেশ চমৎকার।’
নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর ক্রাইস্টচার্চে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে কুইন্সটাউনে পাঁচদিন কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে ডানেডিনে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল।
ডমিঙ্গো জানালেন, দারুণ অনুশীলন করেছেন তারা। কোয়ারেন্টিনে থাকাটা কঠিন হলেও কোনো খেলোয়াড়ই কোনো অভিযোগ আনেননি।
‘প্রস্তুতি নিখুঁত হয়েছে। খেলোয়াড়রা দারুণ কাজ করেছে। লকডাউনে থাকাটা কঠিন ছিল কিন্তু তারা কোনো অভিযোগ করেনি। আমি খুবই গর্বিত ছেলেরা যেভাবে গত তিন সপ্তাহ ধরে তাদের কাজ করেছে’, বলেন ডমিঙ্গো।
শনিবার ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডের মধ্য দিয়ে শুরু হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। পরের দুই ওয়ানডে যথাক্রমে ২৩ ও ২৬ মার্চ। এরপর হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।